উত্তরপ্রদেশে ৪ হাত ও ৪ পা বিশিষ্ট এক শিশুর জন্ম হয়েছে। এই শিশুর জন্মের পর মানুষ একে ‘প্রকৃতির অলৌকিক ঘটনা’ আখ্যা দিচ্ছে। একই সময়ে, কেউ কেউ শিশুটিকে ‘ঈশ্বরের পুনর্জন্ম’-এর সাথে তুলনা করেছেন। যদিও ডাক্তার স্পষ্ট বলেছেন যে এটি যমজ শিশুর জন্মের ঘটনা, তবে দ্বিতীয় সন্তানের শরীর ঠিকমতো বিকশিত হতে পারেনি, যার কারণে জন্ম নেওয়া শিশুর অতিরিক্ত হাত-পা ছিল।
জন্মের পর শিশুটির ছবিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত সপ্তাহে উত্তর প্রদেশের হারদোই জেলার শাহবাদ কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে এই নবজাতকের জন্ম হয়। জন্মের সময় শিশুটির ওজন ছিল প্রায় ৩ কেজি।
গত ২রা জুলাই শিশুটির মা কারিনার প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়, যেখানে তিনি সেই ২রা জুলাইতেই এই সন্তানের জন্ম দেন। অন্য রকম দর্শন এই শিশুটির জন্মের খবর আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন তাকে দেখতে ভিড় জমায়। শিশুটিকে শাহবাদ থেকে হারদোই এবং তারপর চিকিৎসার জন্য লখনউতে পাঠানো হয়েছে।
মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ রমেশ বাবু জানান, এটি যমজ সন্তান ভ্রূণ বিকশিত হওয়ার ঘটনা এবং অন্য শিশুর ভ্রূণটি শিশুটির পেটের ওপরে লেগে আছে বলে মনে হয়, তবে এটি পুরোপুরি বিকশিত হতে পারেনি।
গত ১৭ই জানুয়ারীতেও একটি অনুরূপ ঘটনা সামনে এসেছিল। এই বছরের শুরুর দিকে, ১৭ই জানুয়ারী, বিহারের কাটিহার সদর হাসপাতালে একটি চার-হাত এবং চার-পা যুক্ত শিশুর (৪ হাত ও ৪ পায়ের শিশু) জন্ম হয়। তখন শিশুটির বাবা বলেছিলেন, আল্ট্রাসাউন্ড করা হয়েছিল, কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশুটি ভালো আছে।
গোপালগঞ্জেও হয়েছিল তিন হাত ও তিন পা বিশিষ্ট এক শিশুর জন্ম
২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিহারের গোপালগঞ্জে তিন হাত ও তিন পা বিশিষ্ট একটি শিশুর জন্ম হয়। বৈকুণ্ঠপুরের রেবতীথের বাসিন্দা মোহাম্মদ রহিম আলীর স্ত্রী রাবিনা খাতুন (৩০)কে প্রসবের জন্য বৈকুণ্ঠপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর সে এমন একটি শিশুর জন্ম দেয়। তাকে নিয়েও যথেষ্ট কৌতুহল ছড়িয়েছিল।