উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলায় ফেসবুকে এক তরুণীর সাথে আলাপের পর প্রেমে পড়েন এক যুবক। ফেসবুকের মাধ্যমে ত্রিপুরার আগরতলার এক তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ হয় ওই যুবকের। ৫ বছর ধরে চলে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক। দুজনের মধ্যে প্রেম এতটাই বেড়ে যায় যে দুজনেই বিয়ে করেন। বিয়ের ১৫ দিন পর হঠাৎই শ্বশুরবাড়ির থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় মেয়েটি।
এই কারণে বিষণ্নতায় আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। সকালে পরিবারের লোকজন ওই যুবককে ফাঁসে ঝুলতে দেখে তাকে নামিয়ে পুলিশে খবর দেয়। বর্তমানে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
তথ্যমতে, মামলাটি আটরা থানার চকবাজারের। নিহতের স্বজনরা জানান, যুবক ত্রিপুরার এক তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগের পর ৫ বছর ধরে মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুজনে বিয়ে করলেও বিয়ের প্রায় ১৫ দিন পর সুযোগ পেয়ে ফেরার হয়ে যায় মেয়েটি। এরপর বিষণ্নতায় ভুগতে শুরু করেন ওই যুবক। গভীর রাত পর্যন্ত বাইরে থেকে বাড়িতে আসতেন বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। অনেক বোঝানোর পরও টেনশনে ভুগতে । এইভাবে মানসিক অবসাদে ৪ মাস ধরে ভোগার পর বুধবার তিনি আত্মহত্যা করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট আনন্দরাজ মোবাইলের দোকান চালাতেন।
এ ক্ষেত্রে এসপি অভিনন্দন জানান, এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা সবাই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই, তারপর দেহটি পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। আরও তদন্ত করা হচ্ছে। ফেসবুক থেকে প্রেম, বিয়ে ও মেয়ের শ্বশুরবাড়ির থেকে চলে যাওয়ার প্রশ্নে এসপি বলেন, এ বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সব তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।