লটারি টিকিট কেনার নেশা ছিল তার। এমনই নেশা যে টিকিট কেনার টাকা জোটাতে হয়ে গেল কয়েক লক্ষ টাকা ধার। ঋণগ্রস্ত ব্যবসায়ী সেই টাকা শোধ দিতে না পেরে শেষে আত্মঘাতী! দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটির খবর সামনে এসেছে কলকাতার বেহালায় (Behala) থেকেই। সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে এই খবর সামনে এসেছে। শেষ পর্যন্ত যা জানা গেছে তাতে এই ঘটনায় এখনও মৃতের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী ব্যবসায়ীর নাম বিশ্বজিৎ ঘোষ। বেহালার সত্যেন রায় রোডে বাস করতেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হন বিশ্বজিৎ। মোবাইল ফোন নিয়ে যাননি, বাড়িতেই রেখে বেরিয়েছিলেন। এরপর অনেক সময় পার হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। ফোন সাথে করে নিয়ে না বেরোনোর কারণে পরিবারের লোকেরা যোগাযোগও করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে রাত হয়ে গেলেও বিশ্বজিৎ বাবু বাড়ি না ফিরলে বেহালা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তারপরই গভীর রাতে নিউ আলিপুর স্টেশন থেকে উদ্ধার হয় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ। পুলিশ শনাক্ত করতে ডাকলে পরিবারের লোকজন নিশ্চিত করে যে এটি বিশ্বজিৎবাবুরই দেহ।
কিন্তু তারপরেই সেই মৃত্যু নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন! দুর্ঘটনা কারণে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি, নাকি আত্মঘাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর, এই নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে তাদের অনুমান বেশ অনেকদিন ধরেই প্রবল টাকা পয়সা জনিত অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন বিশ্বজিৎ বাবু। লটারির (Lottery) টিকিট কিনে ভাগ্য পরীক্ষার ইচ্ছা রীতিমত নেশায় পরিণত হয়েছিল। অনেক মানুষের থেকে টাকা ধার করে লটারি কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু শোধ দিতে পারেননি সেই টাকা। ফলে পাওনাদাররা টাকার জন্য তাগদা দিচ্ছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ঋণগ্রস্ত বিশ্বজিৎ বাবু পাওনাদারদের হাত থেকে রেহাই পেতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তবে এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও কারণ বা রহস্য রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।