যদিও আমাদের জীবনের সব সম্পর্কই খুব স্পেশাল, কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে অনেক দিক থেকেই অত্যন্ত স্পেশাল আর ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। এই সম্পর্কটি বিশেষ কারণ এর ভিত্তি বিশ্বাস এবং এর এগিয়ে চলা হয় সততার উপর ভিত্তি করে। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন একজন মানুষ তার অদ্ভুত ইচ্ছা পূরণের জন্য এই সম্পর্ককে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে। হ্যাঁ, আজ আমরা আপনাকে এমনই একটি উপাখ্যান বলতে যাচ্ছি, যেখানে স্বামী তার এক বন্ধুর সাথে মিলে শুধুমাত্র তার ইচ্ছা পূরণের জন্য তার স্ত্রীর সাথে মানবিকতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছিলেন।
আসলে ঘটনাটি ভারতের নয়, সিঙ্গাপুরের। এখানে এক দম্পতির বিয়ের পর 23 বছর কেটে গেছে এবং তাদের দুজনের তিনটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু মাঝবয়সী স্বামী তার এক অর্বাচীন জনিত ইচ্ছায় এত বছরের পুরনো সম্পর্ক মাত্র এক রাতের ব্যাবধানে ভেঙে দেন। এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন ওই ব্যক্তি।
দুই বছর ধরে চলা এই পরিকল্পনার পরে, 48 বছর বয়সী লোকটি তার বন্ধুকে তার বাড়িতে বেডরুমে ডেকে নেন একদিন। এর আগেই ওই ব্যক্তি মাদক সেবন করিয়ে তার ৪৪ বছর বয়সী স্ত্রীকে বিছানায় শুইয়ে দিয়েছিলেন। এই লোকটি তার স্ত্রীর চোখে কালো কাপড়ও বেঁধে দিয়েছিল, কিন্তু তার স্বামীর বন্ধু সেই লোকটি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করার সাথে সাথে মহিলার চোখ খুলে যায় এবং সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশে অভিযোগ জানালে আসামিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালতে শুনানি চলাকালীন, এটি জানা গিয়েছিল যে লোকটি তার স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষের যৌনতা দেখে বিকৃত যৌনসুখ উপভোগ করতে চেয়েছিল। যার কারণে তিনি তার এক বন্ধুকে রাজি করান যিনি 2015 সাল থেকে তার সাথে এই নিয়ে পরিকল্পনা করেছিলেন। পরিকল্পনার মত, লোকটি 2017 সালের 31 ডিসেম্বর তারিখে সেই বন্ধুকে তার বাড়িতে ডেকেছিল এবং তার সাথে মিলে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে স্ত্রীর চোখ খুলে গেলে অভিযুক্তের বন্ধু পালিয়ে যায়। কিন্তু মহিলা পুলিশে অভিযোগ জানালে অ্যারেস্ট হয় ধৃতরা।
