কন্ডোমের কোন কাজে ব্যাবহার হয় তার ব্যবহারিক প্রয়োগের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছেন তিনি। এভাবেও কী সম্ভব কন্ডোম ব্যবহার করা! শুধু একটি মাত্র কন্ডোমের সাহায্যে অলিম্পিকে অ্যাথলিটের পদক জয়ের পথের বাঁধা একনিমেষে সরিয়ে ফেলা গেল। অন্তিম মুহূর্তে কন্ডোমের কারসাজিতেই অলিম্পিক স্বর্ণ পদক ঘরে তুললেন অস্ট্রেলিয়ান অ্যাথলিট। ভাবছেন কী করে? এমনটাও কী সম্ভব! হ্যাঁ, কন্ডোম দিয়ে কায়াক সারিয়ে ইভেন্টে নেমে সোনা জেতার এমন ঘটনা ঘটেছে চলতি টোকিও অলিম্পিকেই (Tokyo Olympics)। এমন অভূতপূর্ব ঘটনা রীতিমত ভাইরাল।
কি হয়েছে ব্যাপারটা তাহলে একটু ব্যাখ্যা করে বলা যাক। মহিলাদের C1 ক্যানোয় স্ল্যালমে ইভেন্টে প্রথমবার সোনা জিতলেন অস্ট্রেলীয় অ্যাথলিট জেসিকা ফক্স (Jessica Fox)। পাশাপাশি জিতেছেন ব্রোঞ্জও। কিন্তু তার জন্য কিছুটা হলেও কৃতিত্ব প্রাপ্য কন্ডোমের। অলিম্পিকে মহিলাদের ক্যানয়িংয়ের সি ওয়ান ফাইনালে নামার আগের মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগী জেসিকা ফক্স দেখেন তাঁর কায়াকের (Kayak) মুখ মানে যাকে বলে বাম্পস ও স্ক্রেপস ভেঙে গিয়েছে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে ফক্স এবং তার টিমের। শেষ মুহূর্তে এত দ্রুত কায়াক জোগাড় করাটাও চাপের। একেবারে শেষমুহুর্তে মেরামতি করার দরকার পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে সেই অংশ কন্ডোম দিয়ে বেঁধে দিলেন জেসিকা।
আর তাতেই একেবারে মেরামত হয়ে যায় জেসিকার কায়াক। যা নিয়ে লড়াইয়ে নেমে সেরাও হয়ে যান তিনি। এনিয়ে তিনি একটি ভিডিও টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামের মত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে এবং মুহূর্তের মধ্যে ত ভাইরালও হয়েছে। কীভাবে কন্ডোমকে কায়াক সারাইয়ের মতোন একটু কাজে ব্যাবহার সম্ভব, এই ভিডিওতে সেই দৃশ্যই ধরা পড়েছে। দেখা যাচ্ছে, প্রথমে নৌকার মতো কায়াকটির মাথার দিকটায় কালো রঙের টেপ জাতীয় কিছু একটা লাগানো হয়। সেটি ছিল আসলে কার্বনের মিশ্রণ। কিন্তু জলের মধ্যে সেটা খুলে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। তার জলের আঘাত থেকে বাঁচাতে তারপরই কার্বনের উপর দিয়ে পরিয়ে দিলেন কন্ডোমটি। ফক্স কন্ডোমের সাহায্যেই কাজে লাগবে না এমন কায়াকটিকে কাজে লাগিয়ে সোনা জিতে উচ্ছসিত ফক্স,
কি এই কায়াক?
অনেকের কাছেই হয়তো কায়াক শব্দটা পরিচিত নয়। কায়াক আসলে ইংরেজি শব্দ। বাংলায় বললে কায়াক মানে নৌকার দাঁড়। ভারত থেকে এই ক্যানয়িং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা হয় না। ক্যানয়িং খেলার এই দেশে এতটা চলও নেই। তবে পাহাড়ি নানা খরস্রোতা নদীতে গিয়ে আমরা প্রায়ই সাক্ষী থাকি ক্যানয়িং এর। ছোট্ট নৌকা বা ডিঙি জাতীয় জিনিস হল কায়াক। যেই কায়াকে একজনই চড়তে পারেন। আর সেই কায়াকে চড়েই চলে ক্যানয়িংয়ের প্রতিযোগিতা। এবার সেই কায়াকের যে উপর ভাগের মুখ থাকে, তাকে বলে বাম্পস ও স্ক্রেপস।