এখানে কোনও দাবী নেই, সত্যি বলতে আর কিছুই নেই দুবেলা খাদ্য, পরিষ্কার পানীয় জলের চাহিদা ছাড়া। অথচ সেটুকু পেতে লিবিয়ার শরণার্থী শিবিরের মহিলারা নিজেদের সম্মান নষ্ট করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনই ভয়ঙ্কর ছবি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তুলে ধরেছে। লিবিয়ার শরণার্থী শিবিরে (Libiya Refugee Camp) নিরাপত্তা রক্ষীরা দুবেলা খাবার, পানীয় জল দিতে গেলে মহিলাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের দাবি করছে। শিবিরের মহিলারা বাধ্য হয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
শরণার্থী শিবিরের এই ভয়াবহ দশা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নিজেদের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের এবং যারা ২০২০ ও ২০২১ সালে লিবিয়া যাত্রা শুরু করেছিল তাদের গতিবিধি ও জীবন যাত্রার ওপরে নজর রেখেছিল। জানা গিয়েছে শিবিরগুলিতে অবস্থার অবনতি ঘটছে লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকা সত্ত্বেও। এই বিষয়ে পোপ ফ্রান্সিস ও রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটারেস রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মোট ৫৩ জন শরণার্থী মহিলার সাথে কথা বলতে পেরেছিল লিবিয়ার শরণার্থী শিবিরের। এর মধ্যে ১৪ থেকে ৫০-এর মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স। তাঁরা নিজেদের জীবনের কালো অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন প্রত্যেকেই। এঁরা কেউ সোমালিয়া থেকে এসেছেন, কেউ বা নাইজিরিয়া বা কেউ সিরিয়া (Siriya) থেকে এসেছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে নিজের পরিচয় গোপন রেখে এক শরণার্থী শিবিরের মহিলা জানান, ক্যাম্পের নিরাপত্তা রক্ষীরা অকথ্য অত্যাচার করে। যৌন সম্পর্কের দাবি জানায় পরিষ্কার জল ও খাবার দিতে গেলে। লিবিয়ার শরণার্থী শিবিরের মহিলারা পরিবারের মুখে খাবার-জল তুলে দিতে সেই সম্পর্কে যেতে বাধ্য হয়। একাধিক মহিলাও এরকমই শিউরে ওঠা অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন ।