Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

৪ বছর অন্ধকার খুপচি ঘরে আটক মহিলা! অবশেষে বাবাকে দেখতেই ডুকরে কেঁদে উঠলেন..

মন্দসৌরের এই ঘটনা শুনলে আপনিও শিউরে উঠতে বাধ্য। এখানে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পুত্রবধূর উপর এমন নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছে যা বিশ্বাস করা শক্ত। যেন ওই মহিলা এক চলমান কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। জানা গিয়েছে স্বামী ও তার পরিবার পুত্রবধূকে শ্বাসরুদ্ধকর অন্ধকার ঘরে ৪ বছর ধরে আটকে রেখেছিল। তার বাবা-মাকেও এখানে আসতে দেয়নি। কিন্তু এখন শহরের একটি এনজিওর সহায়তায় ওই নারীকে মুক্ত করা হয়েছে। বাবাকে দেখে সে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করে আর বলে, ‘বাড়ি যাবো।’ পুলিশ মহিলার স্বামী প্রদীপ ভগবতী লাল মউদের বিরুদ্ধে 498 পার্ট 1, 344, 506 ধারায় মামলা দায়ের করেছে।

মান্দসৌরে, একজন মহিলাকে ৪ বছর ধরে এমন বিকৃত নির্যাতন করা হয়েছিল যা শুনে স্তম্ভিত সকলে। তাঁকে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল দীর্ঘ কয়েক বছর। অবশেষে কোনো ভাবে টের পেয়ে গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় ওই নারীকে একটি নারী আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়। পরে মহিলার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। মেয়েটিকে যখন তারা নিতে আসে তখন সেই দৃশ্য দেখে চোখের জল আটকে রাখা দায় হয়। মহিলাটি বাবাকে চিনতে perei অঝোরে কাঁদতে লাগল।

শিক্ষিত নারীর এই অবস্থা:

রাতলামের খারওয়া কালা গ্রামে বসবাসকারী বুলবুলের বিয়ে হয়েছিল ১৭ বছর আগে মন্দসৌর জেলার পিপলিয়া কারাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ ভগবতী লাল মউদের সঙ্গে। তিনি দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছিলেন এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী চালাতেন। বুলবুলের একটি মেয়ে ও ছেলে রয়েছে। ৪ বছর আগে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাবাকে জানায়। বাবা রাজস্থানের চিতোরগড়ে বুলবুলের চিকিৎসা করান এবং তারপর মেয়েকে নিজের কাছে রাখেন। কিন্তু তখন জামাই এসে বুলবুলকে সঙ্গে নিয়ে যায়। বাসে করে গ্রামে আনার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে দশ বাই দশের একটি কক্ষে আটকে রাখে। ঘরে আলো বা পাখা ছিল না। বাতাস ঢুকতো না। শৌচাগারের নামে ওই ঘরেই গর্ত খনন করা হয়। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বুলবুলকে চার বছর একই অন্ধকার ও দুর্গন্ধময় ঘরে বন্দি করে রেখেছিল।

বন্দিদশা থেকে মুক্তি:

তার এমন নারকীয় জীবনযাপনের কথা গ্রামবাসীরা জানতে পারলে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সদস্যরা মহিলাটিকে ঘর থেকে বের করে এনে অনামিকাকে হস্তান্তর করে, যিনি একজন সমাজকর্মী এবং মন্দসৌরের নারী আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করেন। অনামিকা জৈন যখন মহিলার মেডিকেল চেকআপ করিয়েছিলেন, তখন মনে হয়নি যে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। অনামিকা জৈন মহিলার পরিবারের সদস্যদের এই খবর জানান।

বাবাকে দেখে কেঁদে ফেলে মেয়ে:

খবর পেয়ে বুলবুলের বাবা ও ভাই তাকে নিতে ছুটে আসেন। তাদের দেখে বুলবুল কাঁদতে থাকে। সে তার বাবাকে বলল, বাড়ি যাও। মেয়েকে এ অবস্থায় দেখে বাবারও বাকরুদ্ধ হয়ে আসে। তিনিও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বাবা জানান, জামাই মেয়েকে খুব গালিগালাজ করতো। মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে এসেছেন তিনি বহুবার। কিন্তু জামাই প্রদীপ ভগবতী লাল মওদ কিছুতেই দেখা করতে দিত না। ভাই বলেন, আমি যখনই আমার বোনকে ফোন করতাম, তখনই কথা বলতে দিত না। মাঝে মাঝে বলতো মেয়েটা ঘুমাচ্ছে। কখনো কখনো বলতো ওকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শাশুড়িও অত্যাচার করতেন। ৪ বছর ধরে বোনের এই হাল করেছে।

Related posts

স্নেক ভেনম বিয়ার! মাত্র এক বোতল পান করলেই হতে পারে মৃত্যুও

News Desk

‘আমার গোপনাঙ্গ দেখে থাকতে পারে..’ রিয়েলিটি শোতে বিস্ফোরক কিম কার্দাশিয়ান!

News Desk

পুরো বিশ্বে ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনা ভাইরাস , জেনে নিন করোনা ভাইরাস এই নাম কিভাবে এলো?

News Desk