করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় পৃথিবীর বহু দেশের সঙ্গেই ভ্যাকসিন ভাগ করে নেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করল মার্কিন প্রশাসন। আর এই দেশের তালিকায় রয়েছে ভারতের নামও। এতে দেশের টিকা যোগান বাড়বে বলেই আশা বিশেষজ্ঞদের। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বার বার বিদেশনীতি তে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জোর দিয়েছেন ভারত – মার্কিন বন্ধুত্বেও। তারই সুফল মিলতে চলেছে বলেই অনুমান কুটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
বৃহস্পতিবারই হোয়াইট হাউস থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের দ্বারা আয়োজিত কোভ্যাক্স গ্লোবাল ভ্যাকসিন শেয়ারিং প্রোগ্রাম (United Nations Covax Global Vaccine Sharing Program)- এর মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ৭৫ শতাংশ বেশি ভ্যাকসিন বিতরণ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় থাকছে ভারতও। এই উদারতা প্রদর্শন নিয়ে ফোনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে (Kamala Harris) ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।
এর পূর্বেও জুন মাসের মধ্যে সারা বিশ্বে আট কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ সরবরাহের কথা জানিয়েছিল হোয়াইট হাউস। যদিও এর ২৫ শতাংশ ভ্যাকসিন ইমার্জেন্সী ভিত্তিতে ও আমেরিকার ‘বন্ধু’ দেশগুলিতে বিতরণ করা হবে। সেই প্রথম দফার আড়াই কোটি টিকার মধ্যে ভারতেও ভ্যাকসিন পৌঁছনোর আশ্বাস দিয়েছেন জো বাইডেন। এই সূত্রেই বৃহস্পতিবার রাতে নরেন্দ্র মোদী ফোন করেন কামালা হারিস কে। ফোনালাপ শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন নিয়ে পদক্ষেপের গ্রহণে জন্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। টুইট করে এই বিষয়ে জানান নরেন্দ্র মোদী নিজেই।
১৮ বছরের উর্দ্ধে সকল ভারতবাসীকে ডিসেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন দিতে হলে দরকার বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন ডোজের। রিপোর্ট বলছে এর জন্য দরকার ১.৮৮ বিলিয়ন ভ্যাকসিনের। ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। সরকারি রিপোর্ট বলছে এখনও অবধি দেশে ৮৯ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ বাকি রয়েছে। সেই অবস্থায় মার্কিন প্রশাসনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছেন।