কথায় বলে রাগ একজন মানুষকে পশুর চেয়েও বেশী হিংস্র করে তোলে। এই কারণেই বলা হয় রাগ কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। রাগের বশে মানুষ এমন অন্যায় করে, যার জন্য তাকে সারাজীবন ভুগতে হয়। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে হরিয়ানার আম্বালা জেলায়। যেখানে নিজের স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে স্বামী। তিনি প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে পরে তার হাতে আঘাত করেন।
চাঞ্চল্যকর এই খুনের ঘটনাটি আম্বালার সাহা থানা এলাকার। যেখানে মাহমুদপুর গ্রামে স্ত্রী প্রকাশো দেবীর সঙ্গে থাকতেন বলদেব রানা। গ্রামবাসীর অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই দুজনের মধ্যে ঝগড়া অশান্তি চলছিল। এই বিবাদ এতটাই বেশি ছিল যে প্রতিদিন দুজনের মধ্যে মারামারি হতো। যদিও দুজনের কেউই বাচ্চা নন, যথেষ্ট বয়স্ক। তারপরও তাদের কেউ থামাতে পারেনি।
বুধবার প্রকাশো দেবী তার স্বামী বলদেব রানার সঙ্গে মাঠে ঘাস কাটতে যান। কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত সে আর ফেরেনি। কিছু অঘটনের সন্দেহ হলে অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা তাকে খুঁজতে যায়। ওইসব লোকজন মাঠে গিয়ে যা দেখতে পায় তাতে তাদের পায়ের তলার মাটি সরে যায়। সেখানে পড়ে ছিল প্রকাশো দেবীর রক্তে ভেজা মৃতদেহ। তার গলা সম্পূর্ণ আলাদা এবং মুখ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল।
মাঠের দৃশ্য দেখে গ্রামবাসী ও স্বজনদের বুঝতে সময় লাগেনি যে কে এই খুন করতে পারে। প্রকাশের স্বামী বলদেব রানাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। ব্যাপারটা তখনই সবাই বুঝতে পারল। তাই পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং মৃতের স্বজন, গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাব ইন্সপেক্টর অশোক কুমার জানান, তিনি বলদেব ও প্রকাশের পরিবারের সঙ্গে কথা শুনেছেন। পারস্পরিক বিরোধের জের ধরে বলদেব রানা তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে সবার ধারণা। তাই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে। মহিলার মৃতদেহ আম্বালা ক্যান্ট সিভিল হাসপাতালের পোস্টমর্টেম হাউসে পাঠানো হয়েছে।
তাদের পরিবারের জবানবন্দি রেকর্ড করে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ। বর্তমানে অভিযুক্ত বলদেব রানা ফেরার। নিহত নারীর বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর বলে জানা গেছে।