তিন তিনটে সন্তান থাকা সত্বেও নাবালক এক ছেলের প্রেমে পড়েছিলেন এক গৃহবধূ। কিন্তু সেই সম্পর্ক বাস্তবে পরিণতি পায়নি স্বাভাবিক ভাবেই। কিন্তু সেই কারণে যে মহিলা এমন পদক্ষেপ নেবেন ভাবা যায়নি। ওই মহিলা যা করেছেন শুনলে শিউরে উঠতে হয় রীতিমত। ঘটনাটা কি, জানুন বিস্তারিত।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায়। সেখানে তিন সন্তানের মা, এম নাবালকের প্রেমে বিশ্বাসঘাতকতায় আঘাত পেয়ে শ্মশানের কাছে একটি বাগানের একটি গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। মহিলার কাছে পাওয়া সুইসাইড নোট থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরে ঘুগলী থানা পুলিশ এসে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
আসলে কুশিনগর জেলার হনুমানগঞ্জ থানা এলাকায় বসবাসকারী তিন সন্তানের জননী ঘুগলি থানা এলাকার এক নাবালক বাসিন্দার প্রেমে পড়েছিলেন। মহিলাটি তার স্বামী, সন্তান এবং বাড়িঘর পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছিলেন সেই নাবালকের জন্য। সবাইকে ছেড়ে প্রেমে অন্ধ ওই গৃহবধূ নাবালকের সাথে থাকতে শুরু করলেও দেড় মাস পরে নাবালিক তরুণ মহিলাকে রেখে পালিয়ে যায়।
এরপর মহিলা ফিরে একে তার পরিবারের সদস্যরাও মহিলাকে আবারও ঘরে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেন। নাবালক প্রেমিকের বিশ্বাসঘাতকতায় আঘাত পেয়ে জীবন শেষ করার পথ বেছে নেন তিনি শেষমেষ। জানা গিয়েছে ওই গৃহবধূ গ্রামের কাছে ঘুগলী থানা এলাকার পুরাইনা শ্মশানের একটি গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে ওই মহিলা একটি সুইসাইড নোটও লিখেছিলেন, যা থেকে তার পরিচয় জানা যায়।
‘বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন’
মহিলার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ধর্মেন্দ্র সিং, ঘুগলি থানার পুলিশ জানিয়েছে, এখনও তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ঘটনাটি আত্মহত্যা। তাও যে নাবালকের সাথে থাকতেন মহিলা তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে। যাতে তাকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায় কেন মহিলা আত্মহত্যা করলেন? এসব বিষয়ের প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।