বর-কনে আজকাল কী না করছেন তাদের বিয়েকে অভিনব এবং স্মরণীয় করে রাখতে। কেউ হেলিকপ্টারে, কেউ উটে করে আবার কেউ মোটরসাইকেলে চড়ে কনেকে নিতে আসেন। কিন্তু রাজস্থানের জালোরে, এক ব্যক্তি নিজের বিয়েতে অন্য কিছু করার কথা ভেবেছিলেন। এখানে রানিওয়াদা বিধানসভা কেন্দ্রের এক গ্রামে, বর দলপত কুমার দেওয়াসী গরুর গাড়িতে বসে বিয়ে করে পৌঁছেছিলেন। ফের সেই গরুর গাড়িতেই নববধূ কে নিয়ে তিনি ফিরে আসেন।
গরুর গাড়িটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে সজ্জিত ছিল। বর দলপত কুমার দেওয়াসী গরুর গাড়িতে ৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বরযাত্রী নিয়ে সেবাদা গ্রামে পৌঁছান। বর্তমান গাড়ি, মোটর সাইকেলের যুগে বর যখন একটি গরুর গাড়িতে করে অন্যান্য শোভাযাত্রা করে কনের বাড়িতে পৌঁছায়, তখন এই শোভাযাত্রা দেখতে লোকজন সেখানে ভিড় জমায়।
মানুষ সেলফি তুলে নেয়:
কনে হিনা কুমারীর বাবা বলকা রাম এই গরুর গাড়ির শোভাযাত্রাকে স্বাগত জানান। এরপর রীতি অনুযায়ী দলপত ও হিনার বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই সময় লোকেদের তাদের মোবাইলে গরুর গাড়ির সাথে সেলফি তুলতেও দেখা গেছে। কিন্তু এই যুগে দাড়িয়ে গরুর গাড়িতে চরার ইচ্ছা কেন হলো? দলপত বলেছেন যে তিনি তার পুরানো ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করতে গরুর গাড়িতে শোভাযাত্রা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরাও গরুর গাড়িতে বসে বিয়ে করতে আসতেন। সেই ঐতিহ্যকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
তাদের বিয়ের কথা মনে করিয়ে দিল
বহু বছরের পুরোনো ঐতিহ্যকে। এই শোভাযাত্রা নিয়ে এলাকায় তুমুল চর্চা চলছে। যখন এই শোভাযাত্রা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, সেটা দেখতে বাড়িঘর থেকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে। ষাঁড়ের গলায় ঘণ্টা বাঁধা ছিল। এমতাবস্থায় ঘণ্টার ধ্বনিতে এই শোভাযাত্রাকে আরও আকর্ষণীয় লাগছিল। এই অনন্য শোভাযাত্রা দেখে অনেক প্রবীণ মানুষের তাদের বিয়ের দিনের কথা মনে পড়ে যায়। তিনি বলেন, আমাদের সময়ে এভাবে বর বিয়ে করতে যেত।