পুজোর ভিড়ে যাতে ইভিটিজিং ইত্যাদি বদমাইশি না হয় তার জন্য ভীড়ের মাঝে কর্তব্যরত ছিলেন মহিলা পুলিশ। হঠাৎই তাদের চোখে পড়ে একটি বছর দুয়েকের শিশু। পুজোর ভিড়ের মাঝে দাড়িয়ে একাকি কান্নাকাটি করছে সে। এমন দৃশ্য দেখে তাকে এগিয়ে এসে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহিলা থানার পুলিস। আর কে এই শিশু, আর তার অভিবাবকের খোঁজে নেমেই বেরিয়ে এল আসল রহস্য।
সোমবার রাতে উলুবেড়িয়া থানার অন্তর্গত কালীবাড়িতে পুজোর ডিউটি দিচ্ছিলেন উলুবেড়িয়া মহিলা পুলিস ওসি পিঙ্কি চক্রবর্তী ও তাঁর সহকর্মী পুলিশরা। ইভিটিজিং আটকাতেই সেই স্থানে তিনি ডিউটি করছিলেন। তখনই মহিলা পুলিশ দের নজরে আসে ২ বছরের একটি বাচ্চা এক কোণে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করছে। পুলিশ গিয়ে আশে পাশের সকলকে জিজ্ঞাসা করেও বাচ্চাটির সঙ্গে আসা কাউকে খুঁজে পায়নি। তখনই তাকে উদ্ধার করে আনা হয় উলুবেড়িয়া মহিলা থানায়। সেখানেও ভীষণ কান্নাকাটি করতে থাকে সে।
এদিকে, ওই শিশুটির ব্যাপারে কালীবাড়ি এলাকায় পুলিশ মাইকিং করতে শুরু করে। কিন্তু এত ঘোষণার পরও কেউ শিশুটিকে নিতে বা তার খোঁজে না এলে অবাক হন তারা। অবশেষে সরকারী নিয়ম মেনে তাকে পাঠানো হয় হাওড়ার একটি বেসরকারি হোমে। পাশাপাশি খবর পাঠানো হয় রাজ্যের নানা থানায়। এরপরই মঙ্গলবার সকালে উলুবেড়িয়া মহিলা থানায় এসে উপস্থিত হন উল্টোডাঙ্গা থানার ২ অফিসার। তাঁরা জানান, যে উল্টোডাঙ্গায় উদ্ধার করা শিশুকে কিডন্যাপ করা হয়েছিল কলকাতার উল্টোডাঙ্গা অঞ্চল থেকে। কয়েকদিন আগেই শিশুটির বাবা-মা এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছিলেন।
সেই শিশুটির কিডনাপিং হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস একজন ধৃতকে আটক করে। তাকে জেরা করতেই সে বলে শিশুটিকে সে উলুবেড়িয়ায় ছেড়ে দিয়েছে। সেই তথ্য হাতে পাওয়া মাত্রই উলুবেড়িয়া আসে উল্টোডাঙ্গা পুলিস। শেষপর্যন্ত কিছু নিয়ম মানার পরই শিশুটিকে তার বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে