স্বামীর থেকে ডিভোর্স চাইছিলেন স্ত্রী। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদে সন্মত নন স্বামী। তাই স্বামীকে একেবারে নিকেশ করে দিতে খুনের চক্রান্ত করেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু এই খুনের ছক যেভাবে কষেছিলেন মহিলা তা একেবারে ছিল অভিনব। এমন মারাত্মক পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসার পর ভীষণ ভাবে অবাক হয়েছিলেন তদন্তকারী অফিসাররা। বরাত জোরে যদিও বেচেঁ যান তার স্বামী। স্ত্রীর পরিকল্পনা সফল হয়নি। সতর্ক স্বামী পেতে রাখা মৃত্যুর ফাঁদ থেকে নিজেকে খুব অল্পর জন্য রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছিলেন। কেননা হঠাৎই তার ইন্দ্রিয় বিশেষত ঘ্রানেন্দ্রিয় একটু বেশি মাত্রায় সজাগ হয়ে ওঠে। আর তখনই সন্দেহ হয়। আর এতেই আর কাজে লাগে না স্ত্রীর প্ল্যান। বেশ কিছুদিন আগে আগে ঘটনাটি ঘটেছিল ব্রাজিলের সাও ডি হোসেয়। সে দেশের এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন।
ব্রাজিলের ওই পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪৩ বছর বয়সী স্বামীকে খুন করার জন্য সেদিন নিজের যৌনাঙ্গে বিষ মাখিয়ে রেখেছিলেন স্ত্রী। তিনি এবং তার স্বামী ওরাল সেক্সে অভ্যস্ত ছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, যৌনতায় মেতে ওঠার সময় গোপনাঙ্গে জিভ ঠেকানো মাত্রই যাতে স্বামীর মৃত্যু হয়। কিন্তু সেই পরিকল্পনা মতন কাজ করতে উদ্যত হলেও, স্বামীর সক্রিয় ইন্দ্রিয়র কারণে তার নাকে অস্বাভাবিক গন্ধ আসায় সন্দেহ হয় স্বামীর। এতেই ঘেঁটে যায় স্ত্রীর পরিকল্পনা।। তখনই ওই ব্যাক্তির কিছু একটা সন্দেহ হয়। স্ত্রীকে চেপে ধরলে সে বলেই দেয় সবটা। যৌনাঙ্গে বিষের বিষয়ে জানতে পেরে যায় স্বামী। অবশ্য জানার সাথে সাথে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যান। স্বামী চিন্তিত হয়েছিলেন ওই বিষ হয়তো যৌন দ্বারের মাধ্যমে স্ত্রীর শরীরেও মিশেছে। আদপে হয়েছিলও তাই। স্বামীকে খুন করার পরিকল্পনা করে নিজেই প্রায় মরতে বসেছিলেন ওই মহিলা। তবে স্বামীর তৎপরতায় বেঁচে যায় স্ত্রীর জীবন। কিন্তু এই জঘন্য পরিকল্পনার জন্য তাঁকে ক্ষমা করেননি স্বামী। স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন তিনি।