করোনার সময় এবং এখনও আমাদের চারিদিকের অবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। অফিসে না গিয়ে নিজের বাড়িতে থেকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছে এখনও অনেকেই। দিনের মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ৯ ঘন্টা চলে এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম। তার কারণে দৈনন্দিন রুটিন পাল্টে গেছে মানুষের ঠিক মতো বাইরেও বেরোতে পারেন না তারা। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে মানুষ বাইরে বেরোনো অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন। বিশেষ ভাবে দিনের বেলায়। ফলে ঠিক মতো রোদের ছোয়াও পড়ছে না তাদের। ভিটামিন ডি এর অনেক ঘাটতি হচ্ছে। সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি থাকে যা আমাদের সকলের জানা। ভিটামিন ডি যদি স্বাভাবিক ভাবে শরীরে না আসে তবে শরীরের অনেক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । বিশেষজ্ঞদের মতে এই ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়ের সমস্যা ও রোগ প্রতিরোধ সমস্যা দেখা দেয়।
তাঁরা জানাচ্ছেন, আমাদের শরীরে যখনই সূর্যের আলো পড়ছে, তখন ভিটামিন ডি (Vitamin D) প্রস্তুত হচ্ছে আমাদের শরীরেই। কীভাবে বুঝবেন প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হয়েছে আপনার শরীরে? এরকম অনেক লক্ষণ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
১. স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুদের মধ্যে যে রিকেটস রোগের সম্ভাবনা ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি করে। অর্থাৎ, শিশুদের মধ্যে হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় এবং পেশির জোর কমে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি না থাকলে। পাশাপাশি গাঁটের বিভিন্ন সমস্যাও তাদের দেখা দিতে পারে।
২. প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে অত্যধিক চুল পড়ে যাওয়া, পেশিতে টান ধরা, ক্লান্তি প্রভৃতি সমস্যা দেখা দিতে পারে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হলে।
যদি আপনি এমন কোনও লক্ষণ আপনার শরীরে অনুভূত করে থাকেন, তাহলে পরামর্শ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে সবার আগে। এই সমস্যা কমানোর চেষ্টা না করাই ভালো নিজের ইচ্ছে মতো কিংবা দোকান থেকে যেকোনও ওষুধ খেয়ে। তাতে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দেবে না পাশাপাশি কী করলে, তার পরামর্শও দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
১. প্রতিদিন পাতে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার থাকলে এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব বলে মত পুষ্টিবিদদের। এর জন্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় দুধ, ডিমের কুসুম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
২. কিছুক্ষণ রোদের মধ্যে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, যেন সূর্যের আলো লাগে গোটা শরীরে, সেদিকে নজর দেবেন। সেটা ব্যালকনিও হতে পারে কিংবা ছাদও হতে পারে।