মাঝেরাতে জলের তেষ্টা পেয়ে ঘুম ভেঙে গেল? এক গ্লাস জল পানের পরও যেন তেষ্টা মিটল না। গলা শুকিয়ে কাঠ। এই রকম ঘটনা যদি ঘন ঘন হয়, তাহলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
অনেক জটিল অসুখের কথা জানান দেয় এই লক্ষণ।
যদি এই ঘটনা প্রত্যেক দিনই ঘটে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তবে তার আগে কী কী কারণে এমন হতে পারে, তা জেনে নিন।
১. শরীর অত্যধিক ক্লান্ত হয়ে পড়লে এমন হতে পারে। হয়তো আপনার জীবনযাপনে খানিক বদল আনা প্রয়োজন। কোনও কারণে যদি আপনার ওপর বাড়তি ধকল গিয়ে থাকে, তাহলে একটু বিরতি নিতে পারেন। মনের ক্লান্তি বা অবসাদের লক্ষণও কিন্তু গলা শুকিয়ে যাওয়া। তাই মানসিক ক্লান্তির কথা ভুলে যাবেন না।
২. যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, অন্যদের তুলনায় অনেক ঘন ঘন প্রস্রাব হয় তাদের। এই কারণে জলের অভাব দেখা দিয়ে গলা শুকাতে পারে।
৩. পেটের গোলমাল হলে বা খুব বেশি ঘাম হলে শরীর থেকে অনেক পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। এর ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। গলা শুকিয়ে যাওয়া ডিহাইড্রেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ এবং ডিহাইড্রেশন থেকে নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়।
৪. যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের অত্যধিক ঘাম হয় বেশির ভাগ সময়ে।তার ফলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে গলা শুকিয়ে আসে। তাই প্রত্যেক দিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ঠান্ডা লেগে ফুসফুসের সমস্যা হলে গলা শুকিয়ে যেতে পারে। যাদের কিডনি বা লিভারের সমস্যা রয়েছে, তাদেরও গলা শুকিয়ে আসার প্রবণতা থাকে।