গত বছরের প্রথম দিক থেকেই করোনা অতিমারী (Corona Pandemic) পরিস্থিতিতে এ দেশে বিয়ারের (Beer) জনপ্রিয়তা কমতে দেখা গিয়েছে ভারতীয়দের মধ্যে৷ যদিও এই সময় এমন এক উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে মদের বিক্রি যখন ভারতীয়রা রয়েছেন ঘরবন্দি অবস্থায়। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি দামি মদের দিকে ঝুঁকছেন জনগণ নাকি এটা স্বাভাবিক অবস্থা থেকে সাময়িক বিচ্যুতি?
এটা একটা সাময়িক ঘটনা হতেই পারে যেখানে প্রায় দেশজুড়ে বেশির ভাগ বার বন্ধ রয়েছে গত 18 মাস ধরে৷ বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে তা ছাড়াও৷ তার মধ্যে যেমন একটা হল- বাড়ির বাইরে বার, পাব, পার্টি ইত্যাদি ব্যপক হারে বিয়ার পান করা হয়ে থাকে যেখানে, সেগুলিও বন্ধ৷ তা ছাড়া সাধারণত একেবারে বাড়িতে বিয়ার (Beer) রাখার তেমন চল নেই ভারতীয় পরিবারগুলিতে৷
এভাবে দেশের বারগুলি বন্ধ থাকার ফলে বিয়ারের বিক্রি মার খেয়েছে গত 18 মাস ধরে৷ তবে সংস্থাগুলি সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে হুইস্কি, ভোদকা এবং রামের চাহিদা বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও কিছু পেয়ে যাচ্ছে৷ জুন মাসে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিক ফলাফল জানাচ্ছে, একেবারে সন্মিলিত ভাবে গত বছরের তুলনায় 72% আয় বৃদ্ধি পেয়েছে শীর্ষে থাকা এই ক্ষেত্রে নথিভুক্ত পাঁচটি সংস্থার৷
বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন,অতিমারীতে বারে বসে খাওয়ার সুযোগ না থাকায় বিয়ার শিল্প ধাক্কা খাচ্ছে৷ এলারা সিকিউরিটিস তার রিপোর্টে জানাচ্ছে, এখন যেভাবে বাড়ি থেকে বসেই কাজ সারা হচ্ছে অফিসে যাওয়ার বদলে তার ফলে বাইরে বেরিয়ে বারে বসে বিয়ার খাওয়াটা ধাক্কা খেয়েছে৷ ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে , বিয়ার শিল্প 30% কমে গিয়েছে কোভিড-19 লক ডাউনের জন্য 2020 সালের এপ্রিল থেকে জুনে অর্থাৎ 21 অর্থবর্ষের প্রথম দিকে৷ তবে পাশাপাশি আশা করা হচ্ছে, সংক্রমণ কমায় এবং টিকা দেওয়ার গতি বাড়ায় তাতে আবার বিয়ারের চাহিদা বাড়বে যেভাবে আবার বারগুলি খোলা হচ্ছে৷ তাছাড়া এই করোনা পরিস্থিতিতে দিল্লি-সহ বেশ কিছু রাজ্য ঘোষণা করেছে মদের হোম ডেলিভারি করার জন্য৷ তবে ইলারা সিকিউরিটিস মনে করছে না, কারণ তাতে বিয়ার বিক্রি তেমন বাড়বে বলে সেক্ষেত্রে বিক্রেতারা চাইবেন হোম ডেলিভারির মাধ্যমে বেশি মুনাফা থাকা মদ বিক্রি করতে৷