আশ্রমের চৌহুদ্দির মধ্যেই বসেছিল মদ্যপানের আসর। আশ্রমের পরিবেশ এতে খারাপ হবে, প্রতিবাদ করায় আশ্রমের আবাসিক সন্ন্যাসীর মুখে জোর করে মদ ঢেলে দিল মদ্যপান করা কয়েকজন দুষ্কৃতী। এমনটাই অভিযোগ উঠল। বীরভূম জেলার রামপুরহাট পুর এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। আক্রান্ত ওই সন্ন্যাসী রামপুরহাট পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণী গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার রাতে রামপুরহাটের শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে (Sri Ramkrishna Ashram Rampurhat) আচমকা চিত্কার চেঁচামেচির আওয়াজ পেয়ে আশ্রমের বাইরে আসেন ওই সন্ন্যাসী। সেইসময়ে তিনি দেখেন কয়েকজন নেশাগ্রস্ত যুবক আশ্রম প্রাঙ্গণে বসে মদ্যপান করছেন।
স্বভাবতই আশ্রম প্রাঙ্গণে এই ধরনের কার্যকলাপের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। জোর গলায় রুখে দাড়িয়ে বলেছিলেন এখানে এসব চলবে না। আর প্রতিবাদ করে তারই উপর চড়াও হন সেই মদ্যপ দুষ্কৃতীরা। সন্ন্যাসীর মুখের উপর জোর করে মদ ঢেলে দেয় তারা। এর পরে নিগৃহীত সন্ন্যাসী চিত্কার করলে মদ্যপ দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালাতে পালাতে তাকে ক্রমাগত প্রাণে মারার হুমকিও দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। এই নিগ্রহের ঘটনার পর রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই সন্ন্যাসী।
এই ঘটনায় রামপুরহাট শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের প্রধান অফিস কলকাতার বরানগর আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সারদাত্মানন্দ মহারাজ বলেন, ‘আমরা মানুষের সেবার কাজে নিজেদের যুক্ত রাখি। আমাদের যদি নিরাপত্তা না থেকে তাহলে রাস্তাঘাটে মা বোনদের নিরাপত্তা থাকবে তো? সুধী সমাজ, শিক্ষিত সমাজ কোথায়? প্রশাসনই বা হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে কেন? এ ধরনের ঘটনা কাম্য় নয়।’
নিপীড়িত সন্ন্যাসী বলেন, “আমি রাতের বেলা হট্টগোল শুনে বাইরে এসে দেখি দশ বারোটি ছেলে বসে বোতলে করে মদ খাচ্ছে। আমি সন্ন্যাসী, আশ্রমে থাকি। ওদের বারন করি, এখানে এইসব পান না করতে। আশ্রম চত্বরে এইসব করা যায় না। তখন প্রায় দশ বারোজন মদ্যপ ছেলে মিলে আমায় ঘিরে দেয়। ক্রমাগত শাসাতে থাকে , ‘এটা কি তোর বাপের জায়গা?’ আমি বোঝানোর চেষ্টা করি আশ্রমে এরকম কাজ না করতে। কিন্তু ওরা উল্টে কিন্তু আমায় জোর করে জাপটে ধরে মুখে মদ ঢেলে দেয়। আমি চিত্কার করে উঠতে পালিয়ে যায় শাসাতে শাসাতে। আজ থানায় আমি অভিযোগ জানিয়েছি। লোকাল কাউন্সিলরকেও জানিয়েছি।”
তিনি আরও জানান “বুধবার একাদশীর উপবাস করেছিলাম। কিন্তু ওই যুবকেরা আমার মুখে জোর করে মদ ঢেলে উপবাস ভঙ্গ করে দিল।”
রামপুরহাট শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের প্রধান অফিস কলকাতার বরানগর আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সারদাত্মানন্দ মহারাজ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ‘আমরা জন সাধারণের সেবার কাজে ব্রতী থাকি। আমাদের যদি নিরাপত্তার অবস্থা এমন হয় তাহলে রাস্তাঘাটে মা বোনদের নিরাপত্তা বজায় থাকবে তো?