মধ্যবিত্তের মধ্যে চিরকালই সম্পদ হিসেবে সোনায় লগ্নি করার প্রবণতা দেখা যায়। তবে জানেন কি তবে চিরাচরিত উপায় ছেড়ে সোনায় আপনি বিভিন্ন আধুনিক পদ্ধতিতে লগ্নি করতেও পারেন! তা-ও আবার নিশ্চিন্তে এবং নির্ঝঞ্ঝাটে।
বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি এবং ডলারের দামে স্থিরতার কারণে নিরাপদ লগ্নি হিসেবে সোনায় লগ্নি করার প্রবণতা দেখা যায় বেশির ভাগ মানুষ এর ক্ষেত্রে।
এদের সব থেকে সেরা উপায় হলো ‘সভারিন গোল্ড বন্ড’। এই ‘সোনা’ কিন্তু গহনার ‘সোনা’ নয়! মানে ‘পেপার গোল্ড বন্ড’য়ে সোনার কোনও বস্তুনিষ্ঠ অস্তিত্ব নেই। তাই এই সোনাকে লকারের সুরক্ষিত ডেরায়, অতি সুরক্ষায় রেখে দেওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না। তথ্য দিলেন বিশেষজ্ঞ।
সোনা কেনা নিয়ে মোটামুটি আমরা সকলেই কমবেশি উৎসাহী! তার উপর আবার বিশ্বব্যাপী চাহিদার ভিত্তিতে সোনার দামের সাম্প্রতিক উত্থানও সোনাই বিনিয়োগ এর ব্যাপার এ সকলকে ভাবতে বাধ্য করেছে।
সাম্প্রতিক যেমন বিক্রির সুযোগ মিলেছে। তেমনি অনেকেই আবার নতুন উদ্যোগে সোনা কিনতে ও লগ্নি করতে উৎসাহিত হয়েছেন। কিন্তু সাবেকি সোনা কেনা-বেচার বাইরেও সাম্প্রতিক সময়ের বেশির ভাগ যুবক যুবতীরা কিন্তু সোনায় লগ্নি করতে চান অনেক স্বচ্ছভাবে, সহজ পথে, কোন গহনার ঝঞ্ঝাট ছাড়া।
সেই ক্ষেত্রে আধুনিক সময়ের সব থেকে সেরা উপায় হলো ‘সভারিন গোল্ড বন্ড’ (Sovereign Gold Bond)। এই নামই বলে দিচ্ছে, এখানে সোনার কোনও বাস্তবিক বা ‘ফিজিক্যাল’ উপস্থিতি নেই।
সভারিন গোল্ড বন্ড’ – এর ক্ষেত্রে সোনার গয়না বা একতাল সোনা কেনার প্রশ্নই ওঠে না। সভারিন গোল্ড বন্ড’ -এ সোনার গুণগত মান নিয়ে দ্বিমতের কোনও জায়গাই নেই। তাই এই সভারিন গোল্ড বন্ড কেনার পদ্ধতি অনেক অংশেই ফিজিক্যাল সোনা কেনার থেকে স্বচ্ছ এবং নির্ভরযোগ্য। শুধু তাই নয় সভারিন গোল্ড বন্ড রিডেম্পশানের সময় যদি সোনার দর বেড়ে গিয়ে থাকে, তাহলে আপনার লগ্নি অনেক বেশি সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে যাবে।