মুচমুচে খাবার পছন্দ যাদের , তাদের অন্যতম প্রিয় খাবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই (French Fries)। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আসলে মুচমুচে আলু ভাজা। বলা যায় আলুভাজারই পোশাকি নাম ‘ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস’। বার্গার হোক কি স্যান্ডউইচ , এই সমস্ত ধরনের স্ন্যাকস জাতীয় খাবারের সঙ্গেই নানা ফাস্ট ফুড চেইন বা রেস্তোরাঁয় সার্ভ করা হয়ে থাকে এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস। টোম্যাটো সসে ডুবিয়ে হলুদ লম্বা একটা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মুখে পুড়লে অমৃতর স্বাদ অনুভব করেন বহু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই প্রেমী মানুষই। কিন্তু এবারে এতদিন ধরে চলে আসা গতে বাঁধা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর রেসিপি তে অদল বদল ঘটিয়ে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি দামী ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানিয়ে ফেলল আমেরিকার একটি রেস্তোঁরা। মুলত আলু দিয়ে তৈরি এই মুচমুচে খাবারটি এবার গ্রিনিস বুকে নাম লিখিয়েছে দামি খাবারের নিরিখে। দামটাও জানতে ইচ্ছে হচ্ছে? তাহলে জেনে রাখুন, এটাই বিশ্বের সর্বাধিক দামি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। দাম পড়বে ২০০ আমেরিকান ডলার। ভারতীয় টাকায় হিসাব করলে যা দাড়ায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। এই দাম নিয়ে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই টি Guinness World Records-এ নাম তুলে ফেলেছে।
আমেরিকায় ন্যাশনাল ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ডে-তে পৃথিবীর সব চেয়ে দামী ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে নিউ ইয়র্ক সিটির (New York City) বিখ্যাত রেস্তরাঁ ‘সেরেন্ডিপিটি-৩’। নানা ধরনের উপকরণ দিয়ে তৈরি রোজের চেনা এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই- এর নাম শেফ রেখেছেন ‘ক্রিম দে লা ক্রিম পোম ফ্রাইটস’ (Crème de la Crème Pomme Frites)। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে শেয়ারও করেছেন কিভাবে তৈরি হয়েছে এই বহু মূল্যবান ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইগুলিকে দুধরনের ফরাসি শ্যাম্পেন , চিপারবেক পোট্যাটো ( Chipperbeck potatoes), ডম পেরিগন শ্যাম্পেন (Dom Perignon Champagne) আলুগুলি কে ভিজিয়ে রেখে , তারপর ভিনিগারে ভিজিয়ে তাদের তিন বার গরম ভাজা হয়েছে ট্রাফল বাটার ও অয়েলে। তার পর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি বিশেষ ধরনের নুন আর তেলও দেওয়া হয়েছে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইগুলির উপর। এতেই পৃথিবীর সবচেয়ে মহার্ঘ্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস এর আখ্যা পায় নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের এই রেস্তরাঁর শেফ জো ক্যাল্ডেরন এবং কর্পোরেট এক্সিকিউটিভ শেফ ফ্রেড্রিক শো-কিউয়ার্ট এর বানানো এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস।