রাজ্যে ৩০শে জুলাই অবধি বিধিনিষেধ বহাল থাকলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউনের কড়াকড়ি এখন অনেকটাই শিথিল। আর কড়াকড়ি কমতেই রাজ্যের মানুষ ভিড় জমিয়েছেন সৈকত শহর দিঘায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বার বার জানিয়েছেন আপাতত সংক্রমন কমলেও সঙ্কট এখনও কাটেনি। করোনার তৃতীয় ঢেউ আসবেই। তাই তা ঠেকাতে তারা মাস্ক পরা ও সামাজিক দুরত্ববিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু সেই নিয়ে বিশেষ গা নেই জন সাধারণের মধ্যে। দীঘায় করোনা সংক্রমন ঠেকাতে কাঁথি মহকুমা প্রশাসন জারি করেছিল কড়া নির্দেশিকা। দীঘা বা তৎসংলগ্ন পর্যটনস্থল গুলিতে প্রবেশ করতে দরকার কোভিড টিকার ২টি ডোজের সার্টিফিকেট অথবা ৪৮ ঘণ্টা আগে করা করোনা টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট।
এমন অবস্থায় প্রশাসনের নির্দেশিকা অনুযায়ী অনেকেই আনছেন করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট বা টিকার দুটি ডোজের সার্টিফিকেট। কিন্তু তার সাথে সাথেই প্রসাশন তরফে বারবার বলা হয়েছে পর্যটনকেন্দ্রে অবশ্যই লাগবে মাস্ক। কিন্তু বাস্তবে চিত্রটা দেখা যাচ্ছে উল্টো। অধিকাংশ পর্যটকই মাস্ক ছাড়াই ভীড় করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিঘায় ফুর্তিতে গা ভাসিয়ে দিয়েছিলেন পর্যটকরা। পর্যটকদের এহেন ডোন্ট কেয়ার আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ দীঘার স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যাবসায়ীরা। পর্যটকদের সঙ্গে বহু ক্ষেত্রেই বচসায় জড়িয়ে পড়ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষও। এই নিয়ে প্রশাসনের কাছে পৌঁছেছে বহু অভিযোগ।
করোনা সতর্কতা অমান্য করার এমন পরিস্থিতিতে রাশ টানতে এরপরই পথে নামে পুলিশ। শুরু করে ধরপাকড়। বহু পর্যটককেই কোভিড সচেতনতা বজায় রাখতে মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়ানোর জন্য সতর্ক করেন পুলিশ। কিন্তু সতর্কতার পরেও করোনা বিধি না মানায় আটক করা হয় বেশ কিছু পর্যটককে। নিয়মভঙ্গের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মোট ৩০ জন পর্যটককে আটক করে প্রশাসন। তাদের যদিও সতর্ক করে আর জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রসাশন জানিয়েছে এই অভিযান এখন চলবে।