কিশমিশ আসলে হল শুকনো আঙ্গুর। কিশমিশের রয়েছে প্রচুর গুণাগুণ, আরও রয়েছে নানাবিধ শারীরিক উপকারিতা। পুরনো সময় থেকেই শরীর কে শক্তি বা ক্যালরির দেওয়ার চমৎকার উৎস রূপে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই শুকনো ফলটি। সূর্যের তাপে বা আধুনিক যুগে কৃত্রিমভাবে তাপের মাধ্যমে আঙ্গুর কে শুকিয়ে তৈরী হয় কিশমিশ। তাপে আঙুরে উপস্থিত ফ্রুক্টোজ জমাট বেঁধে পরিণত হয় কিশমিশে। পোলাও হোক বা শিমুই এর ক্ষির , বা কালিয়া অথবা হালুয়া , এই শুকনো ফল রান্নার স্বাদ বাড়ায় বহুগুণে। কিন্তু শুধু রান্নার স্বাদ নয় , শরীরে নানা জটিল সমস্যার সমাধান করতে এই শুকনো ফলটির জুড়ি মেলা ভার। কিশমিশ শুধু শুধু খাওয়াই যায়। কিন্তু ম্যাজিকের মত উপকার পেতে জলে কিশমিশ ভিজিয়ে খান ৷ আপনার শরীরের জন্য তা ভীষণ ভাবে উপকারী ৷ আর সব থেকে বড় ব্যাপার হল এই কিশমিশ ভেজানো জলের উপকার বুঝতে আপনাকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হবে না। মাত্র ৭ দিন খালি পেতে কিশমিশের জল সেবনেই হাতে নাতে পাবেন প্রমাণ।
কিভাবে বানাবেন কিশমিশের জল?
২ কাপ জলে এক মুঠো বা ১০-১৫টা কিশমিশ নিয়ে ভিজিয়ে দিন ৷ খুব শক্ত বা খুব নরম কিশমিশ কিনবেন না। যত গাঢ় রঙ হবে তত বেশি উপকার। সকালে এই জল ছেঁকে সামান্য গরম করে খালি পেতে খেয়ে নিন। আধঘন্টার মধ্যে আর কিছু খাবেন না।
কি কি উপকার পাবেন?
এই ঘরোয়া টোটকা খুবই কার্যকর তাঁদের জন্য যাঁরা নিয়মিত পেটের ও হজমের সমস্যায় ভোগেন। পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এই কিশমিশের জল। এর উপকার বুঝবেন মাত্র ৪ দিনেই।
কিডনির নানা সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়, কিশমিশ ভেজানো জল খেলে। পাশাপাশি আপনার লিভারও সুস্থ থাকে।
অনেক ডাক্তারও রোগীকে কিশমিশ প্রেসক্রাইব করেন ওষুধের পাশাপাশি। কারণ, হার্টকে ভালো রাখে কিশমিশ। সেইসঙ্গে কোলেস্টারল দূর করে যা শরীরের পক্ষে সাংঘাতিক।
কিশমিশে কার্বহাইড্রেট থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। তাই মহিলাদের পক্ষে কিশমিশ ভেজানো জল উপকারী। বেশিরভাগ মহিলারা ভোগেন রক্তাল্পতায়। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন তাঁদের কিশমিশ খাওয়ার।
শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়।