একটু একটু করে ছন্দে ফিরছে দেশ করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন আগাম প্রস্তুত থাকতে তৃতীয় ঢেউয়ের জন্যে। কিন্তু জনজীবন ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই। কিন্তু তার মধ্যেই জিকা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত চিকিৎসকদের চিন্তায় ফেলেছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ কেরলে ১৪ জনের শরীরে পাওয়া গেল।
বৃহস্পতিবার কেরালায় জিকা ভাইরাসের কথা জানান কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। ২৪ বছরের এক যুবতীর শরীরে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে তিরুঅনন্তপুরমের পারাসালায়। আরও ১৩ জনের শরীরে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে শুক্রবার বলে জানা গিয়েছে। তাতেই জিকা ভাইরাস নিয়ে কোনও ঢিলেমি দিতে চাইছে না করোনা কালে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
কী এই জিকা ভাইরাস?
এই ভাইরাস মূলত ইডিস মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গি বা পীতজ্বরের মতো সংক্রমণের জন্যও দায়ী এই ইডিস মশাই। তবে সব সময় যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য এই মশার কামড়ই দায়ী, তাও নয়। এই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে গর্ভবতী মহিলার থেকে তাঁর গর্ভে থাকা সন্তান। সংক্রমণ যৌনসম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
উপসর্গ
তেমন মারাত্মক উপসর্গ কিছু হয় না জিকা ভাইরাসের সংক্রমণে। দেখা দিতে পারে জ্বর, মাথাব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ। পরিসংখ্যান বলছে, মৃত্যুর আশঙ্কাও তুলনায় কম জিকার সংক্রমণে। কিন্তু বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে সংক্রমণ বাড়াবাড়ি জায়গায় গেলে।
চিকিৎসা
এই জিকা সংক্রমণের কী ভাবে চিকিৎসা হয়? এর কোনও টিকা বা ওষুধ এখনও পর্যন্ত নেই। চিকিৎসকেরা, প্রচুর জল খেতে আর বিশ্রাম নিতে বলেন। এটাই সেরে ওঠার একমাত্র রাস্তা জিকা থেকে।
কী ভাবে বাঁচবেন
কীভাবে জিকার হাত থেকে বাঁচা যায়? এই সংক্রমণ মশার কামড় থেকেই প্রাথমিক ভাবে ছড়ায়। তাই জিকা থেকে বাঁচতে মশার কামড় এড়িয়ে চলতে হবে। কেউ একবার সংক্রমিত হলে তাঁকে দূরে থাকতে হবে মশার কামড় থেকে। কারণ মশার কামড়ের মাধ্যমে তাঁর থেকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ।