Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

মাত্র ৩ দিন বয়সী ছেলেকে জঙ্গলের ভেতর জল ভর্তি গর্তে ফেলে দিয়ে আসলো মা! তারপর…

এমনও হয়। একেই বোধহয় বলে ঘোর কলি।রাজস্থানের ঝালাওয়ার জেলা থেকে এক বিব্রতকর ও ভাবতে বাধ্য করায় এমন একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এখানে এক মা তার মাত্র ৩দিন বয়সী নবজাতক শিশুকে জঙ্গলের মধ্যে এক জলের গর্তে ডুবিয়ে হত্যা করেছে। এই ঘটনার কথা শুনে সকলে হতবাক। পুলিশ একরত্তি শিশুর দেহ উদ্ধার করে অভিযুক্ত মাকে হেফাজতে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত হত্যার কারণ জানা যায়নি। পারিবারিক কলহ থেকে এই ঘটনা কিনা মাথায় রেখে পুলিশও তদন্ত করছে।

তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ঝালাওয়ার জেলার কামখেদা থানা এলাকার মগ্যাবেহ গ্রামের। সেখানে মনোহরথানা হাসপাতালে গত ২০শে জুলাই একটি সন্তানের জন্ম দেন রেখা লোধা। শুক্রবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রেখার স্বামী তাকে গ্রামে নিয়ে আসেন। এরপর গভীর রাতে হঠাৎ করেই রেখা লোধা তার নবজাতক সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পেছনের জঙ্গলে চলে যান। সেখানে জল ভর্তি এক গর্তে শিশুটিকে ফেলে ফিরে আসেন।

পরিবারকে জানান, শিশুটিকে কোনো বন্য প্রাণী তুলে নিয়ে গেছে:

বন থেকে ফেরার সময় রেখা তার স্বজনদের বাড়ির বাইরে দেখতে পান। রেখা জঙ্গল থেকে আসছে কেনো সেই বিষয়ে সন্দেহ হলে তারা রেখাকে শিশুটির কথা জিজ্ঞেস করেন। এ নিয়ে সে শিশুটিকে বন্য পশু তুলে নিয়ে যাওয়ার একটি মিথ্যা গল্প তৈরি করে। এতে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পরে শিশুটির খোঁজ শুরু করে পরিবার। কিন্তু তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্বজনরা গর্ত থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে:

এ বিষয়ে রেখার শ্বশুর কামখেদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রেখা লোধাকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। চাপের মুখে তিনি ভেঙে পড়েন এবং তিনি জানান যে তিনি শিশুটিকে জঙ্গলে একটি জলভর্তি গর্তে তিনি ফেলে দেন। এরপর রেখার উল্লেখিত ঘটনার স্থানে পুলিশ ও তার স্বজনরা পৌঁছান। সেখানে নবজাতকের নিথর দেহের সন্ধান মেলে। জলের গর্ত থেকে তার মৃতদেহ বের করা হয়। পরে পুলিশ নবজাতকের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে আকলেরা হাসপাতালে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে।

অভিযুক্ত রেখা লোধাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ:

মামলাটি সামনে আসার পর অভিযুক্ত মা রেখা লোধাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ব্যস্ত পুলিশ। এখন পর্যন্ত ওই নারী বলেননি কেন তিনি মাত্র ৩ দিন বয়সী শিশুকে হত্যা করেছেন। রেখার পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। রেখার ইতিমধ্যে একটি ছেলে রয়েছে। পুলিশ রেখার পরিবারের মধ্যে চলমান বিরোধের বিষয়টিও তদন্ত করছে।

Related posts

কিছুতেই কমছে না করোনা, আবারও বাড়লো দৈনিক সংক্রমণ ও অ্যাকটিভ কেস

News Desk

বিয়ে শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তে ফোনে এমন কি মেসেজ এলো যে বিয়েই ভেঙে দিল বর! জানুন ঘটনাটা

News Desk

এখানকার লোকেরা অতিথিদের তাদের স্ত্রীদের সাথে শুতে অনুমতি দেয়, মহিলারা সবচেয়ে সুন্দর!

News Desk