গতকালই তৃনমূল ছেড়ে বিজেপি তে যোগ দিয়েছেন সপুত্র মুকুল রায়। আর তার পরের দিনই রাজ্য বিজেপি-র চিন্তা বাড়িয়ে শাসক দলের নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে তার বাড়িতে বৈঠক বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শনিবার ১২ই জুন কুণাল ঘোষের উত্তর কলকাতার বাসভবনে হয়েছে এই বৈঠক। আজ বিকেল ৫.৩০ নাগাদ কুণাল ঘোষের বাড়িতে যান রাজীব। সেখানেই দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে কুণাল বলেন, ‘‘মানিকতলায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক আত্মীয় অসুস্থ হওয়ায় দেখতে এসেছিলেন। সেখান থেকেই আমার বাড়িতে আসেন। আমাদের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে।’’ আর রাজীব জানান , এক আত্মীয় শরীর খারাপ হওয়ায় তাঁকে দেখতে এসেছিলেন। কুণাল যেহেতু তার পরিচিত তিনি একটি ফোন করে চলে আসেন। আরও দাবি করেন তাদের ভেতরে কোনও ধরনের রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া তে তাঁর যেই পোস্টকে ঘিরে দল পাল্টানোর জল্পনা, সেই সম্ভাবনাকেই আবার উস্কে দিয়ে বিজেপি নিয়ে নিজের অসন্তোষ আবারও জাহির করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড়ের এই প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, ‘‘এই বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা একটা সরকারের সবে ১ মাস হয়েছে। সেখানে যদি কেউ বা কারা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চায় বা সাম্প্রদায়িকতার গোঁড়ামী দেখাতে চায় বা যদি ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করতে চায় তবে আমি সেই দলে থাকলেও বিরোধিতা করব। আগামী দিনেও আমি বিরোধী থাকব।’’
এর আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক, টুইটারে এই ৩৫৬ ধারা জারির বিরোধিতা করে লিখেছিলেন। তা থেকেই ইঙ্গিত মিলছিল যে, শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের সাথে সহমত নন তিনি। কারণ, শুভেন্দু অধিকারী সেই সময় রাজ্যে ৩৫৬ ধারা কার্যকরের মতো পরিস্থিতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন।