যে কোন ভাইরাসের সময়ের সাথে সাথে নিজের চরিত্র বদলাতে সক্ষম। এমনটা ঘটেছে করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে। মিউটেশনের ফলে প্রতিদিনই আরও ভয়ঙ্কর হয় উঠছে এই ভাইরাসের ভিন্ন ভিন্ন ভারিইয়ান্ট। প্রথম ঢেউ থেকেই একাধিকবার চরিত্র পাল্টে বিশ্বের জন্য নতুন নতুন ত্রাস সৃষ্টি করেছে আরএনএ (RNA) ভাইরাস সারস কোভিড। ভারতে করোনা চরিত্র পাল্টে হয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর। মিউটেশনের ফলে যে ডেল্টা ভারিয়ান্ট ভারতে দেখা গিয়েছে যার ফলে ভারতে প্রবল ভাবে আছড়ে পড়েছে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ।
তবে এবার যে ঘটনা সামনে এসেছে তা রীতিমত আতঙ্কের বিশ্ববাসীর জন্যে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার এক ৩৬ বছর বয়সী মহিলার দেহে পাওয়া গিয়েছে কোভিড-১৯। ওই মহিলা ২০০৬ সাল থেকে এইচ আই ভি (HIV) পজিটিভ। এমনিতেই HIV ভাইরাসে কোনো ব্যাক্তি আক্রান্ত হলে তার দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এইচ আই ভি ভাইরাস এবং কোভিড উভয়েই আরএনএ (RNA) ভাইরাস এবং একই সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় ওই মহিলার দেহে ৩২ বার নিজের চরিত্র পাল্টে করোনা, হয়ে উঠেছে মারাত্মক। পরীক্ষা করে দেখা গেছে করোনা এবং এইচ আই ভি- এর সংযোগে করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের ১৩ বার মিউটেশন হয়েছে।
এক মেডিকেল জার্নাল মেডরিক্সভ (medRxiv) -এ প্রকাশিত হয়েছে যে এই যাবৎ দক্ষিণ আফ্রিকার ওই মহিলার দেহে E484K মিউটেশনের পর আলফা ভ্যারিয়েন্ট B.1.1.7 পাওয়া গিয়েছে, এর সাথে সাথেই N510Y মিউটেশনের কারণে তৈরি হয়েছে B.1.351 ভ্যারিয়েন্ট।
এখন বিশ্ব জুড়ে বিশেষজ্ঞদের দুশ্চিন্তা হল এই নতুন মারণ ভ্যারিয়েন্টগুলি কতটা ছড়িয়ে পড়েছে। এই মারণ ভ্যারিয়েন্টগুলি থেকে আবারও নতুন করে করোনার ঝড় আসতে পারে বিশ্বে। এখনও পর্যন্ত ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতের ভয়ঙ্কর সংক্রামক করোনা স্ট্রেন নিয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে বিশ্বের নানা দেশ বিশেষত ভারত। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত তারা।