পড়াশুনা করতে ভালো লাগত না। সেই কারণেই নাবালিকা নিজেই নিজের গলা কেটে ফেলার চেষ্টা করে। তবে মেয়েটির জীবন রক্ষা পেয়েছে এবং সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনাটি হরিয়ানার পানিপত জেলার।
তথ্য অনুযায়ী, মেয়েটি পানিপথের একটি কলোনির এক দরিদ্র পরিবারের বাসিন্দা। পড়ালেখায় দুর্বল হওয়ায় মেয়েটি নিজেকে শেষ করতে উদ্যত হয়। এই কথা ভেবে ছুরি দিয়ে নিজের গলা কেটে ফেলে। পরিবারের লোকজন বাড়িতে না থাকায় প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। মেয়েটির বাবা-মাকেও খবর দেওয়া হয়। পরে পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে ড্রেসিং করে রেফার করেন।
মেয়েটি কেন এমনটা করেছে জানতে চাওয়া হলে মেয়েটি জানায়, ‘আমি পড়ালেখায় খুবই দুর্বল তাই সে এই পদক্ষেপ নিয়েছি।’ এ ব্যাপারে বাবার সাথে কথা হলে বাবা বলেন, আমরা গরীব আমার মেয়ে সরকারি স্কুলে পড়ে। মেয়ের ইচ্ছে ছিল সে একটি প্রাইভেট স্কুলে পড়ুক এবং টিউশনি নেওয়া হোক। দারিদ্র্যের কারণে তাকে প্রাইভেট স্কুলে টিউশনি করাতে পারছি না, সে কারণে মেয়েটি এ পদক্ষেপ নিয়েছে। বর্তমানে মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসক তাকে রেফার করেন। তবে ছাত্রীটির বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।