বিয়ারট্রিয় থমসন। এখন তিনি ৭৬ পার করেছেন। যৌনপেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি আমেরিকার নেভাডায়। যদিও তাকে বিয়াট্রিস থ্রি ডলার থমসন নামে গোটা যৌন পেশার জগৎ চিনতো।
অনেকটাই কম বয়সে যৌনপেশায় যুক্ত হয়েছিলেন বিয়াট্রিস। তিন ডলারের বিনিময়ে গ্রাহকদের শুরুর দিকে পরিষেবা দিতেন। আর তারপর থেকেই তার নেভাডায় পেশার জগতে ‘থ্রি ডলার’ নামেই পরিচিত।
বিয়াট্রিস তার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি এই পেশায় যত দিন থাকবেন, কয়েক লক্ষ গ্রাহককে সেই সময়ের মধ্যে পরিষেবা দিয়ে যাওয়াই হবে তাঁর লক্ষ্য। আর পেশাগত জীবনের ৫৪ বছর ধরে সেই লক্ষ্যই পূরণ করেছেন।
পাঁচ লক্ষ গ্রাহককে পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন বিয়াট্রিস ৫৪ বছর ধরে। এক সাক্ষাৎকারে বিয়াট্রিস আরও বলেন, “ খুব অল্প বয়স ছিল যখন, দিনে পরিষেবা দিতাম ৫০-১০০ জন গ্রাহককে। স্থির করেছিলাম যে, এই সংখ্যাটা অবসরের আগে পাঁচ লাখে নিয়ে যাব। এই পেশায় একটু কম পরিচিত ছিলাম, তাই আরও বেশ কয়েক বছর এই লক্ষ্যপূরণে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে।”
১৯৬৯ সাল থেকে ’৯২ সাল— মোট ১৭ বার বছরের সেরা যৌনকর্মীর সম্মান পেয়েছিলেন তিনি এই ২৩ বছরে।
২০১১ সালে ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছিল নেভাডা যৌনকর্মী সংগঠন বিয়াট্রিসকে।
বিয়াট্রিস আরও এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,“ আমি এই পেশা থেকে অবসর নিতে পারতাম ৬৪ বছরের আগেই। কিন্তু আমি সব সময় কাজকে ভালবেসেছি। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনোর তাগিদেই আরও কয়েক বছর পরিষেবা দিতে রাজি হয়েছিলাম ।”
বিয়াট্রিস জানিয়েছেন যে পাঁচ লক্ষ গ্রাহকের পরিষেবার দাবি করছেন তিনি, তার সাপেক্ষে প্রমাণও আছে। কোন সময়ে এসেছিলেন কোন গ্রাহক, কত টাকা দিয়েছেন, সব নথিভুক্ত করে রেখেছেন তিনি। এমনকি তাঁর পরিষেবা সম্পর্কে কী মতামত দিয়েছেন, ১০ হাজারেরও বেশি গ্রাহকের সেই নথিও আছে বিয়াট্রিসের কাছে।
বিয়াট্রিসের দাবি, তিনি পরিষেবা গিয়েছেন গত ৫৪ বছর ধরে যে পাঁচ লক্ষ গ্রাহককে, সেই ‘সন্তুষ্ট গ্রাহক’দের তালিকায় আমেরিকার চার প্রেসিডেন্টও ছিলেন।
বিয়াট্রিসের শেষ গ্রাহক ছিলেন অবসরের আগে বছর চৌত্রিশের এক জার্মান নাগরিক। প্রায় ৮,৭০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে এসেছিলেন হামবুর্গের ওই বাসিন্দা শুধু মাত্র বিয়াট্রিসের টানে।
তার এই কৃতিত্ব নিয়ে গিনিস বুক অফ ওয়ারল্ড রেকর্ডস এও পৌঁছানো হয়েছে।