বিহারের দারভাঙ্গা জেলায় এক বান্ধবী তার প্রেমিকের সাথে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে সে বলেছে যে ছেলেটি তাকে নিয়ে পালিয়ে যায়নি। বরং সেই ওই ছেলেটিকে পালাতে বাধ্য করেছে তার সাথে। তাই তার প্রেমিক ওই ছেলেটির বিরুদ্ধে দায়ের করা অপহরণ মামলা মিথ্যা। সে তার নিজের ইচ্ছায় তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে। তিনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং তারা উভয়ই আইনত বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর তার পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, তাই তাকে ও তার প্রেমিকের নিরাপত্তা দিতে হবে।
তরুণী রূপাঞ্জলি কুমারী একটি ভিডিও আপলোড করে বলেছেন যে তিনি তার প্রেমিক রাজ কুমার দাসের সাথে আন্তঃবর্ণ বিয়ে করেছেন। এরপর তাকে ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
‘ছেলেটার সাথে পালিয়ে গেলাম’
আড়াই মিনিটেরও বেশি সময়ের ভিডিওতে রূপাঞ্জলি জানিয়েছেন, তার প্রেমিক ওই ছেলেকে নিয়ে পালিয়েছেন তিনি। এবং দুজনেই বিয়ে করেন। মেয়েটি বিয়ের সার্টিফিকেটও এই ভিডিওতে দেখিয়েছে। যেখানে আর্য সমাজ মন্দির গ্রেটার নয়ডার ঠিকানা। এর সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রমাণ হিসেবে স্কুলের সার্টিফিকেটও শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তিনি যা লেখা আছে তা পড়ছেন।
ভিডিও আপলোড করলে কিছুই প্রমাণ হবে না: পুলিশ
একই সঙ্গে বাহেরি থানার অফিসার আশুতোষ কুমার ঝা জানিয়েছেন, তার পরিবারের সদস্যরা তাদের নিখোঁজ হওয়ার খবর জানিয়েছে তাই অপহৃত তরুণী ও পলাতক যুবক এর খোঁজে তল্লাশি চলছে। এসএইচও বলেন, ভিডিও দেখলে কিছুই বোঝা যাবে না। আদালতে জবানবন্দি দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
একই ঘটনা মুজাফফরপুরেও
তাই একই সময়ে বিহারের মুজাফফরপুরেও এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে একটি মেয়ে পুলিশের কাছে বিচারের আবেদন জানিয়ে ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে মেয়েটি বলছে যে সে তার নিজের ইচ্ছায় বিজয় নামে এক যুবকের সাথে পালিয়ে গেছে এবং দুজনেই বিয়ে করেছে। তার বাবা-মা বিজয় ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। এই ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মেয়েটি পড়ছে এবং কথা বলছে। এরপর ভিডিওটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।