করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে দেশ। বিগত কয়েকদিনে দৈনিক সংক্রমণ উদ্বেগজনক হলেও পরপর দু’দিন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের নিচে। প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে অ্যাকটিভ কেসও। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিটি রাজ্যকে বুস্টার ডোজ অভিযানে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৬২ জন। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ৯ হাজারের বেশি। সংক্রমণের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় একলাফে অনেকটা কমেছে অ্যাকটিভ কেসও। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৫৮ জন। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার কমে ০.২৪ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ১৩৪।
দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে সংক্রমণে লাগাম টানা সম্ভব হলেও খানিকটা বেশি রাজধানী দিল্লির করোনা গ্রাফ। একদিনে রাজধানীতে আক্রান্ত ৯১৭ জন। এছাড়া মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে। সংকক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই বুস্টার ডোজের অভিযান ত্বরান্বিত করতে চাইছে কেন্দ্র। যে কারণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, রেল স্টেশন থেকে ধর্মীয় স্থান, জনবহুল এলাকাগুলি বেছে সেখানে টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। অনেকে এখনও বুস্টার বা প্রিকশন ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে অহীনা দেখাচ্ছেন। তেমনটা যাতে না হয়, তার জন্য আপাতত বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার দিনও ধার্য করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে চলতি বছর ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্তই নিখরচায় করোনার প্রিকশন ডোজ পাওয়া যাবে।
মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে বাড়ছে সুস্থতার হারও। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৫৭ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, দেশে করোনার টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৮ কোটি ৫৭ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন প্রায় ২৬ লক্ষ। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।