উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে টিউবওয়েল বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (JE) শৈলেন্দ্র কুমার এবং তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের আত্মহত্যা ঘিরে রহস্য ক্রমেই জট বাঁধছে। প্রথমে অনুমান ছিল দেনার দায়ে স্ত্রী-কন্যা সহ আত্মহত্যা করেছেন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু এখন এই আত্মহত্যার ঘটনায় এসেছে নতুন মোড়। পুলিশের তথ্য মতে, সুইসাইড নোটে মৃত ব্যক্তির মাথার উপর ৬৫ লক্ষ টাকা দেনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, অথচ তার অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ছিল।
লখনউ পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ছিল, এমন পরিস্থিতিতে ৬৫ লক্ষ টাকা দেনার দায়ে কেউ কেন আত্মহত্যা করবে সেই প্রশ্নও ধাঁধাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুইসাইড নোটে উল্লেখিত চার অভিযুক্তকে একে একে জেরা করেছে লখনউ পুলিশ। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সবাইকে নির্দেশ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, পুলিশের হাতে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নিহতের ভাই। এ লেখা তার ভাইয়ের নয় বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের ভাই। এখন পুরো বিষয়টি নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য যে লখনউয়ের জানকিপুরম থানা এলাকায় বসবাসকারী শৈলেন্দ্র কুমার (টিউবওয়েল বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার) তার স্ত্রী ও মেয়েসহ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও খুঁজে পেয়েছিল, যেখানে চারজন তাঁকে ৬৫ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধের জন্য ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল, কিন্তু তদন্তে অন্য কিছু প্রকাশ পায়।
এডিসিপি অনিল যাদবের মতে, মৃতের উপর প্রায় ৬৫ লক্ষ এবং আরো ১০ লক্ষ টাকার ধার দেনা ছিল, তবে মৃতের অ্যাকাউন্টে ৮০ লক্ষ টাকাও ছিল, তাই পুরো বিষয়টি আবার তদন্ত করা হচ্ছে। লেখার সঙ্গে মিলে যাওয়ার জন্য সুইসাইড নোট ফরেনসিকের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সব দিকটাই খতিয়ে দেখছে।