উন্নাও জেলার সফিপুর শহরের মহল্লা বাবর আলিখেড়ায় শুক্রবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় কিন্নরকে (বৃহন্নলা বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ) গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক সন্দেহ খুনিরা লাখ লাখ টাকার গয়না, মূল্যবান জিনিসপত্র ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। শনিবার সকালে বাবুর্চি বাড়িতে পৌঁছালে ঘটনাটি জানা যায়। কিন্নরের সঙ্গে থাকা তিন সহযোগী পলাতক।
পুলিশ নজরদারির মাধ্যমে তাদের খোঁজ করছে। এসপি বলেন, সম্পত্তির লোভে এ হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে। কানপুরের বিথুরের আরাইর গ্রামের বাসিন্দা কিন্নর মুসকান (বয়স ৩৫ বছর), বাবর আলিখেদাতে একটি বাড়ি ছিলেন। মোরাদাবাদের কিন্নর রুবি, মথুরার সালোনি এবং ঝাঁসির আন্নুও তার সঙ্গে থাকতেন।
শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে সরাই সুবেদারের বাসিন্দা বাবুর্চি পুষ্প ও সন্তোষ মুসকানের বাড়িতে গেলে তারা দেখেন দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। কোনোমতে দরজা খুললে বিছানায় পড়ে থাকা মুসকানের রক্তমাখা শরীর দেখে তাদের পায়ের তলার মাটি সরে যায়। আলমারির তালা ভাঙ্গা রয়েছে দেখা যায়। এছাড়া মালপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
বাবুর্চিরা গোন্ডার বাসিন্দা ঢোলাকিয়া মনোজ বাবাকে ঘটনাটি জানায়। মনোজের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান কোতোয়াল অবনীশ কুমার সিং। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর পাওয়া যায়নি। এসপি দীনেশ ত্রিপাঠি একটি ফরেনসিক দলকে ডেকে তদন্ত করেন। নিহতের সঙ্গে বসবাসকারী বাকি তিন বৃহন্নলার ফোন বন্ধ রয়েছে। এসপি তিনজনের মোবাইল নম্বরই নজরদারিতে রেখেছেন। বিকেলে মথুরার যমুনা নগর থানার লক্ষ্মীনগর গ্রাম থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মুসকানের সঙ্গী সোনু। এসপি বলেন, এ ঘটনায় ঘনিষ্ঠ কারো হাত রয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে।