উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে ১০০ জনেরও বেশি লোককে যৌনতার ফাঁদে ফেলে টাকা তোলায় সেক্সটর্শন গ্যাংয়ের দুই কথিত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্ত দুজনই রক্তের সম্পর্কের ভাই এবং দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
এই সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে দিল্লি পুলিশ শনিবার বলেছে যে একজন ব্যক্তির অভিযোগের পরে সেক্সটর্শন গ্যাংয়ের এই সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লোকটি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিল যে অভিযুক্তরা তার কাছ থেকে ১২ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা জোর জুলুম করে আদায় করেছে। পুলিশ এর আগে এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করলেও দুই সদস্য আহমেদ খান ও আমির খান পলাতক ছিলেন।
ডিসিপি (অপরাধ দমন শাখার) অমিত গোয়াল বলেছেন যে বৃহস্পতিবার তাদের উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ডিসিপির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত দুজনই প্রকৃত ভাই এবং তারা একটি যৌনপল্লির সদস্য যারা ১০০ জনেরও বেশি লোককে টার্গেট করেছে, এবং তাদের ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করেছে।
ঠিক কিভাবে কাজ করতো এই চক্র? জানা গেছে সেক্সটর্শন গ্যাংয়ের সাথে যুক্ত এই অভিযুক্তরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যাবহার করে নিজেদের শিকার খুঁজতো। তারা মহিলাদের নামে অনেক ভুয়ো প্রোফাইল বানিয়ে রাখতো। সেই প্রোফাইল গুলি ব্যাবহার করে মানুষকে টার্গেট করত এবং তারপর তাদের ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ পাঠাত।
পুলিশ আরো জানিয়েছে যে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলে কিছুক্ষণ চলতো মেসেঞ্জারে বার্তালাপ। তারপরেই তারা ওই ব্যক্তিকে ভিডিও কলে আসতে বলত এবং প্রলোভন দেখিয়ে কিছু অশ্লীল কাজ করতে বলত, যা তারা গোপনে রেকর্ড করত। এরপর ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে অবৈধভাবে টাকা চাইতে থাকতো। এই ভাবেই শতাধিক মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা নিয়েছে তারা।