Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

টিকাকরণ উল্টে শক্তি বাড়াচ্ছে করোনার,’বিস্ফোরক নোবেলজয়ী ভাইরোলজিস্ট

সারা পৃথিবী এখন করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছে। এই ভাইরাসকে রুখতে শুরু হয়েছে বিশ্বব্যাপি টিকাকরণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং বিশ্বের বড় বড় গবেষকদের অধিকাংশই মানছেন টিকাকরণ ই একমাত্র উপায়। বিশ্বের নামি দামী ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাও গুলিও বিপুল চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় দিনরাত এক করছে। যে ভ্যাকসিনগুলি (Corona Vaccine) ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় স্বীকৃতি পেয়েছে, সেগুলি সাধারণ মানুষ অবধি পৌঁছনও দিন রাত এক করছে বিভিন্ন দেশের সরকারও। কিন্তু পৃথিবীর সব চেয়ে বড় টিকা করণ কর্ম সূচির মধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের বরিষ্ঠ নোবেলেজয়ী ভাইরোলজিস্ট লুক মন্টেনিয়র (Luc Montagnier)। যা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ মহলে।

টিকাকরণ উল্টে শক্তি বাড়াচ্ছে করোনার,’বিস্ফোরক নোবেলজয়ী ভাইরোলজিস্ট

লুক মন্টেনিয়রের মতে যত বেশি সংখ্যক মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছে ঠিক ততটাই হীতে বিপরীত হচ্ছে। কারণ, কোনও দিন কোনো টিকা ভাইরাসকে আটকে রুখতে পারে না। বরং টিকা ভাইরাসকে আরও শক্তিশালী করে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে লুক মন্টেনিয়রের দাবি, অতিমারী সংক্রান্ত গবেষকরা পুরোটাই জানেন কিন্তু তবু তাঁরা চুপ রয়েছেন। নোবেলজয়ী ওই ভাইরোলজিস্ট সোজাসুজি জানান,”কোনও ভ্যাকসিন ভাইরাসকে আটকায় না বরং তাকে আরও শক্তিশালী করে। টীকা করণের ফলে করোনার নতুন যে প্রজাতি তৈরি হচ্ছে, তা আগের থেকেও শক্তিশালী।” প্রবীণ ওই গবেষকের,”টিকাকরণ হওয়ার ফলে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যা করোনাকে (CoronaVirus) হয় অভিযোজন করতে, নয়তো মারা যেতে বাধ্য করে। তখনই অভিযোজনের ফলে এই ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হয়ে যায়।” মন্টেনিয়রের সাফ কথা, এটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক বড় ভুল। যা এখন হয়তো মানবেন না। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে এটিকে ভুল হিসাবেই মনে রাখবে।

উল্লেখ্য,অনেকের মতেই মন্টেনিয়রের দেওয়া তত্ত্ব একেবারে ফেলনা নয়। করোনার প্রথম ঢেউ যখন কিছুটা কমে আসে তখন বিশ্বের নানা দেশে ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়। এবং পরপরই সারা পৃথিবীতে প্রভাব ফেলে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। এবং নভেল করোনা ভাইরাসটির নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হচ্ছে। এই নতুন প্রজাতিগুলি আগের থেকে অনেক শক্তিশালী। অনেক চিকিৎসা বিজ্ঞানী যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। তারা মনে করছেন এটা নেহাতই আর পাঁচটা গুপ্ত গবেষণা তত্ত্বের মতো। কোনও গবেষণায় দ্বারা এই তত্ত্ব টি প্রমানিত হয়নি। উল্লেখ্য, এই লুক মন্টেনিয়রই একটা সময় দাবি করেছিলেন, করোনা ভাইরাস মানুষের তৈরি। এবং এই ভাইরাসটি ল্যাবরেটারিতে তৈরি করা হয়েছে।

Related posts

শীঘ্রই কাজ করবে না হাজার হাজার Android ফোন, সিদ্ধান্তে জানিয়ে দিল Google

News Desk

রাজ্যের করোনা সংক্রমনের দিক থেকে কলকাতা সবথেকে বেশি এগিয়ে, কমলো মৃত্যুহার

News Desk

যেই জলাশয়েই থাকে ডেকে আনে বিপদ। কোথা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে এল আমেরিকান ‘রাক্ষুসে কচ্ছপ’?

News Desk