মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায় একই দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করলেন তিন আসল বোন। এই ঘটনার পর গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ মৃতদেহ তিনটিকে ময়নাতদন্তের জন্য খান্ডোয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আত্মহত্যার আসল কারণ খুঁজে বের করতে ব্যস্ত পুলিশ।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি খান্ডওয়া জেলার জাওয়ার থানা এলাকার কোঠাঘাট গ্রামের। তিন বোনই মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। বাবা আগেই মারা গেছেন। সাধারণ দিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও মা ও ভাইয়ের সঙ্গে খাবার খেয়েছেন তিন বোন। তার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়ল। রাত দশটার দিকে মা ঘুম থেকে জেগে অন্য ঘরে গিয়ে দেখেন তিন মেয়ে নিখোঁজ। সে রাতে টর্চ নিয়ে খোঁজ করতে বেরিয়েছিল। কিছুক্ষণ পর তিন বোন একই দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে নিম গাছে ঝুলতে থাকে। এটা দেখে মায়ের জ্ঞান হারিয়ে যায়।
নিহতের ভাই জানান, আমরা আট ভাই-বোন (তিন বোন আর নেই)। তিন বোন সানু (২৩ বছর বয়সী), সাবিত্রী (২০ বছর বয়সী) এবং ললিতা (১৯ বছর বয়সী) মঙ্গলবার বাজারে গিয়েছিলেন। সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে গেল। এদিকে রাতে তিন বোন ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেয়। মা যখন জেগে ওঠে, তখন বোনেরা নিখোঁজ ছিল। মা আমাকে জাগিয়ে তোলে। বাইরে গিয়ে মা দেখলেন, তিনজনই নিম গাছে দড়ি দিয়ে ঝুলে আছে। সানু এখনও কলেজে পড়ছিল। সাবিত্রী বিবাহিত এবং ললিতা ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। তাদের সাথে কি কোনো সমস্যা ছিল, এমন কিছু কখনো জানায়নি। কারো সাথে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই।
এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত এসপি সীমা আলাওয়া জানান, একই পরিবারের মেয়েরা একত্রে আত্মহত্যা করেছে। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তিনজনই একই দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। এখনও কোনও সুইসাইড নোট বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাড়িতেও ঝগড়া হয়েছে বলে জানা যায়নি।
