দিল্লীর যমুনাপারের অন্যতম পশ এলাকা থেক দয়ানন্দ বিহারে অবস্থিত একটি স্পা সেন্টারে ধরা পড়েছে সেক্স র্যাকেট। সেখানে ম্যাসাজ সেন্টারের আড়ালে সেক্স র্যাকেট চালানো হচ্ছে বলে খবর পেয়েছিল পুলিশ। তথ্য নিশ্চিত করতে তার একজন ইনফরমারকে সেখানে গ্রাহক হিসেবে পাঠানো হয়। পুলিশ গেলে এক হাজার টাকা ম্যাসেজ ফি নেওয়া হয়েছে। এরপর কেবিনে (রুমে) যৌনমিলনের জন্য আলাদাভাবে এক হাজার টাকা নেয় মেয়েটি।
পাঁচজন মেয়ে ‘সার্ভিস’ দিতেন
মেয়েটিকে টাকা দেওয়া মাত্রই পুলিশ মিস কল দিয়ে ইশারা করেন টিমকে। এরপর বিশেষ কর্মীদের দল সেখানে অভিযান চালায়। আনন্দ বিহার থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে একটি ছেলে ও একটি মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আয়ান মান্দাওয়ালির বাসিন্দা। তিনি শরীর ম্যাসাজের রেট নিয়ে দর কষাকষি করেছিলেন। এরা ছাড়াও আরও পাঁচ মেয়েও সেখানে উপস্থিত ছিল।
ডিসিপি শাহদারা আর. সত্যসুন্দরম জানান, দয়ানন্দ বিহারের ৩ নম্বর প্লটে ভেনেজ (এজেএ) থাই স্পা নামে একটি কেন্দ্রে সেক্স র্যাকেট চালানোর ব্যাপারে গোপন তথ্য ছিল। বিষয়টি তদন্ত করতে স্পেশাল স্টাফ ইনচার্জ বিকাশের নেতৃত্বে এসআই বিনীত প্রতাপ, অরুণ, এএসআই প্রমোদ, সুধীর, রিতুল, হেড কনস্টেবল বিপিন, হরকেশ এবং মহিলা কনস্টেবল পারমিতার একটি দল গঠন করা হয়েছিল।
মিসড কলে ইনফরমেশন পেয়ে পুলিশ ভিতরে ঢুকল
তথ্য নিশ্চিত করতে, দলটি তাদের একজন ইনফরমার কে গ্রাহক হিসাবে স্পা-এ পাঠিয়েছে। সেখানে পৌঁছে এক হাজার টাকায় ম্যাসাজের রেট ঠিক হয়। মেয়ে সমেত কেবিনে পাঠানো হয় খদ্দের রুপি পুলিশকে। তারপর সেখানে এক হাজার টাকার বিনিময়ে যৌনতার প্রস্তাব দেয় মেয়েটি। গ্রাহক মেয়েটিকে এক হাজার টাকা দিয়ে ফাঁদ পেতে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশকে খবর দেন। সেই দল তৎক্ষণাৎ স্পা-এ ঢুকে পড়ে। মূল পান্ডা আয়ান ও মেয়েটিকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ কর্মীর দেওয়া দুই হাজার টাকাও সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।
স্পা-এর লাইসেন্সের মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছিল।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে এই স্পাটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও স্পা চালানো হচ্ছিল। সেই লাইসেন্সও ছিল অন্য কারো নামে। যিনি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এই প্রাঙ্গণটি সিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালত, এসডিএম এবং এমসিডি-তে একটি আবেদন পাঠানো হবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।