বর্তমান সময়ে যেন মানবতা শেষ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ খুব বিপজ্জনক তো হয়েই উঠছে সেইসাথে খুব স্বার্থপর এবং নিকৃষ্টও হয়ে উঠছে দিনে দিনে সে বিষয়েও কোনো দ্বিরুক্তি নেই। বিশেষ করে নারী নির্যাতনের ঘটনার যেন কোনো বিরতি নেই। সম্প্রতি কেনিয়া থেকে এমন খবর বেরিয়েছে যা গোটা মানবজাতিকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। এখানে শতবর্ষীয় এক জরাগ্রস্ত বৃদ্ধা নারীর সম্ভ্রম লুণ্ঠন করা হয়েছে। সব থেকে অবাক করা বিষয় হলো যে ব্যক্তি তার সাথে এই জঘন্য কাজটি করেছিল তার বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। গ্রামবাসীরা বিষয়টি জানতে পেরে একই সঙ্গে সকলের সামনে ওই ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়। গ্রামবাসীদের দ্বারা লোকটিকে এতটাই আঘাত করা হয় যে সে মারা যায়।
খবরে বলা হয়েছে, এই জঘন্য কাজটি করেছে গ্রামেরই পিয়াস মাভিরেরি নামে ২২ বছর বয়সী এক ছেলে। এর পর গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে সবার সামনেই মারতে থাকে। ছেলেটি তার অপরাধ স্বীকার করার সাথে সাথে সবাই মিলে তার প্রাণ কেড়ে নেয়। ওই ব্যক্তিকে মারধরের বিষয়টি পুলিশের কানেও পৌঁছেছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করার আগেই সে গুরুতর জখম হয়। তার অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই অভিযুক্ত মারা যান।
ঘুমন্ত মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়
বৃদ্ধ মহিলা নিজেই তার সাথে ঘটে যাওয়া এই জঘন্য কাজের কথা গ্রামবাসীদের জানিয়েছিলেন। তিনি জানান, রাতে পিয়াস তার বাড়িতে প্রবেশ করেছিল। সে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। তাকে ঘুমের মধ্যে ধর্ষণ করে। বৃদ্ধা জেগে ওঠার সাথে সাথে তিনি চিৎকার শুরু করেন এবং সাহায্যের জন্য লোকজনের কাছে আবেদন করেন। মহিলার চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা সেখানে জড়ো হন। কেনিয়া মিউজিক-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গ্রামবাসীরা সঙ্গে সঙ্গে পিয়াসকে ধরে মারধর শুরু করে।
ঘটনাস্থলেই শাস্তি:
ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ চরমে পৌঁছয়। তারা অবিলম্বে অপরাধীর শাস্তির সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা পিয়াসকে বেধড়ক মারধর করে। অভ্যন্তরীণ আঘাতের পাশাপাশি তার শরীরে অনেক ক্ষতও পাওয়া গেছে। পিয়াসকে মারধর করতে দেখে মাত্র দুইজন ব্যাক্তি পুলিশকে খবর দেয় কিন্তু তারা পৌঁছাতে পৌঁছতে অনেক দেরি হয়ে যায়। এখন মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি বৃদ্ধ মহিলারও ডাক্তারি পরীক্ষা ও করা হয়েছে, তারপর তিনি বাড়িতে সুস্থ হয়ে উঠছেন।