বিহারের সহরসায়, এক মহিলা পুলিশে চাকরি পাওয়ার সাথে সাথে তার স্বামীকে চিনতে অস্বীকার করেছেন বলে অভিযোগ। এখন এর বিচার চেয়ে বেচারা স্বামী সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই ঘটনায় সবস্তিপুরের এসপির কাছে আবেদন করেছেন নির্যাতিত ওই ব্যাক্তি।
রাজেন্দ্র কুমার (নাম পরিবর্তিত) নামে এক ব্যক্তি জানান যে তার সাথে বিমানবন্দর মাঠে এক যুবতী রজনী কুমারীর (নাম পরিবর্তিত) দেখা হয়েছিল। আসলে ওই মাঠে দুজনেই দৌড়াতে যেতেন। দুজনেই সেই সময় একসাথে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ওই ব্যক্তি বলেছিলেন যে রজনী বিহার পুলিশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং সে সেনাবাহিনীর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এই সময় তারা দুজনেই প্রেমে পড়েন এবং তারপর দুজনেই একসাথে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্তও নেন।
ওই যুবক জানান, বিয়ের আগে তারা ওই শহরের নয়াবাজারে ৪ মাস একসঙ্গে থাকেন, এরপর গত বছর পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে বিয়ে করেন দুজনে। সহরসার মাতেশ্বর ধাম মন্দিরে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রী বিহার পুলিশের জয়েনিং লেটার পেলে নাকি স্বামীর কাছ থেকে টাকা দাবি করতে থাকে।
ভিকটিম রাজেন্দ্র জানান, সে তার স্ত্রীর পেছনে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করেছেন। পরে স্ত্রী প্রশিক্ষণের জন্য চলে যান এবং তিনি তার সাথে সেখানে দেখা করতে গেলে তার স্ত্রী তাকে চিনতেই অস্বীকার করেন। যুবক আবার ট্রেনিং সেন্টারে গেলে তার স্ত্রী তাকে বকাঝকা করে এক কনস্টেবলের মাধ্যমে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, ওই সময় তার স্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে ট্রেনিং শেষ হলে সে তার সাথে থাকতে আসবে।
নির্যাতিত যুবক জানান, ট্রেনিং শেষ হওয়ার পর স্ত্রী গ্রামে এলে পঞ্চায়েত ডেকে চার-পাঁচজনকে বসিয়ে বলেন- এখন আর স্বামীর সঙ্গে থাকবে না। এদিকে এই সব কিছুর পর রাজেন্দ্রও সমস্তিপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে আবেদন করেন যাতে তিনি ন্যায়বিচার পেতে পারেন, কারণ তার স্ত্রী একই জেলার পাটোরি থানায় পোস্টেড রয়েছেন। একই সঙ্গে অভিযোগের পর এসপি বলেন, মামলাটি মহিলা থানার, তিনি সেখানেই হস্তান্তর করবেন। ওই তরুণ বিচার দাবি করছে। তার মতে দুজনেই ২০২১ সালে বিয়ে করেছিলেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।