প্রেম সম্পর্কিত ঘটনায় কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। কিন্তু এই ঘটনা শুনলে আপনি অবাক হতে বাধ্য। এ যেন বাস্তবের ‘আজব প্রেম কি গজব কাহানিয়া’, যেখানে খুড়তোতো ভাই-বোন একে অপরের প্রেমে পড়ে এবং তারপর সাতপাক নেওয়ার পরে তা বাকিরা মেনে নেয়। ঘটনাটা জামুই এলাকার। কয়েকদিন আগের একটা ঘটনা অবশ্য আছে। পড়ুন এই অদ্ভুত প্রেমের গল্প…
সকলে বলে ‘ভালোবাসা অন্ধ!’ এই প্রেমের গল্প সেটাই যেন প্রমাণ করে। এই প্রেমের গল্পের প্রধান চরিত্র হল ভাই-বোন, যারা একসাথে বাঁচার এবং মরার প্রতিশ্রুতি নিয়েছিল এবং তারপরে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
পুলিশ ভাই বোনের বিয়ে দিয়েছে:
কয়েকদিন আগে বিষয়টি গণমাধ্যমের শিরোনামে আসে। জামুই জেলার সোনো থানা এলাকার আউরাইয়া গ্রামে এই বিয়ে হয়েছে। তথ্যমতে, ওড়াইয়া গ্রামের নিরঞ্জন দাসের বিয়ে ঠিক হয় অন্যত্র। ঝাড়খণ্ডের এক মেয়ে যে সম্পর্কে তার বোন সে বিষয়টি জানতে পেরে হুমকি দেয়। তিনি তাকে বিয়ে করার জন্য জোর দিয়েছিলেন। বিষয়টি পুলিশের কাছে পৌঁছায়। এখন পুলিশ জোর করে দুজনকে বিয়ে করিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও দম্পতি এখানে নিজেদের স্বাধীন ইচ্ছার কথা বলছেন। এই বিয়েতে যাদের আপত্তি আছে তারা বলছে মেয়েটির বয়স ১৬ বছর কয়েক মাস। পুলিশ বিষয়টি দীর্ঘায়িত করার কথা বলে ছেলের পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখায় বলে অভিযোগ। এটি তাদের বিয়ের জন্য রাজি করিয়ে তোলে। কিছুদিন আগে তাদের দুই পরিবারই সুরাটে থাকত। এরপর তারা একে অপরের কাছাকাছি চলে আসে। যদিও পরে ব্রেকআপ হয়ে যায়। এদিকে, উভয় পরিবারই সুরাট থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে। বলা হচ্ছে, ছেলেটি বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছিল, কিন্তু মেয়েটি তা হতে দেয়নি।
বিয়ের প্রস্তুতির মধ্যে ভাই-বোনেরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে:
এটি একটি আলাদা ঘটনা। এই ঘটনাটি বিহারের জামুই জেলায় ২০২১ সালের মে মাসে প্রকাশিত হয়েছিল। খুড়তোতো ভাইয়ের প্রেম নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা হলে উভয় পরিবার মুখোমুখি হয়েছিল। দুজনের বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের আগেই দুজনেই পালিয়ে যায়। করোনা তখন মারাত্মক আকারে। তাই লকডাউনের পর দুজনেই থানায় পৌঁছান। ঘটনাটি জম্মুর লক্ষ্মীপুর থানার অন্তর্গত গৌড়া পঞ্চায়েতের ভুনিমাহার গ্রামের। সেখানে ওই গ্রামের প্রমোদ তাঁতী নামে এক যুবক প্রেমে পড়েছিল তার মামাতো বোন ক্রান্তি কুমারীর সঙ্গে। বিষয়টি থানায় পৌঁছায়। পুলিশ উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে তারপর পাশের শিব মন্দিরে বিয়ে করায়।