বিহারের সমস্তিপুরে এক মহিলার জন্য তার স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের বিরোধিতা করা বেশ ভারি হয়ে দাঁড়ালো। বৈবাহিক সম্পর্কে থেকেও কেন স্বামী বাইরে একাধিক অবৈধ সম্পর্ক করেছে সেই প্রশ্ন করায় স্ত্রীকে হত্যা করে বৈদ্যুতিক টাওয়ার থেকে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে স্বামী। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়।
ঘটনাটি মুসরিঘরারি থানা এলাকার একটি গ্রামের, যেখানে বৈদ্যুতিক টাওয়ারে ঝুলন্ত অবস্থায় এক বিবাহিত মহিলার মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গ্রামবাসীরা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, নিহত অভিযুক্তের প্রথম স্ত্রী। দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পাশাপাশি কয়েকজন নারীর সঙ্গে তার স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সে প্রায়ই এর বিরোধিতা করত।
অভিযুক্তের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে মহিলা যখনই প্রশ্ন তোলেন, তখনই দুজনের মধ্যে কলহ শুরু হয়। এ জন্য ওই ব্যক্তি সবসময় তাকে মারধর করত। এইদিন এই বিবাদ ঘিরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ওই মহিলার প্রাণ কেড়ে নেয় অভিযুক্ত। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রথম স্ত্রীকে হত্যার পর সবার থেকে লুকানোর জন্য অভিযুক্ত স্বামী বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বৈদ্যুতিক টাওয়ারে ঝুলিয়ে দেয় যাতে মনে হয় সে আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার সকালে মহিলার দেহ ঝুলতে দেখে গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করে। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যদের অবস্থা শোচনীয়।
ছেলে এফআইআর দায়ের করেছে:
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে তার বাবার বিরুদ্ধে মুসরিঘড়ি থানায় হত্যার এফআইআর দায়ের করেছে। ছেলে জানায়, তার বাবার অন্য এক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তার মা প্রায়ই প্রতিবাদ করতেন। এ কারণে তার বাবা মাকে হত্যা করে দেহ বৈদ্যুতিক টাওয়ার থেকে ঝুলিয়ে রাখে। মুসরিঘড়ি থানার সভাপতি পঙ্কজ কুমার জানান, ছেলে তার বাবার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।