উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলা থেকে একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে কনে। এখন পর্যন্ত কনের স্বজনরা এ ঘটনার খবর লিখিত ভাবে পুলিশকে দেয়নি বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর বরযাত্রী নিয়ে ফিরতে হয় বরকে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন জানায়, বরকে দেখেই কনে পালিয়ে যায়। রুম লক করে দিয়ে বিষ খেয়ে নেন তিনি। তাড়াহুড়ো করে, পরিবার কনেকে একটি প্রাইভেট নার্সিং হোমে নিয়ে যায়, সেখান থেকে তাকে কানপুরে রেফার করা হয়। কানপুরে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় নববধূর। বলা হচ্ছে কনের বয়স ২০ বছর এবং বরের বয়স ৪২ বছর। তার চেয়ে দ্বিগুণ বয়সী বরকে দেখে তিনি নাকি মেনে নিতে পারেননি, তাই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
রবিবার গভীর সন্ধ্যায় কানপুর জেলার মহারাজপুর এলাকা থেকে বর সমেত বরযাত্রীর দল আসে অং এলাকার একটি গ্রামে অবস্থিত গেস্ট হাউসে। সপরিবারে পাত্র কে বরণ অনুষ্ঠান শেষে গভীর রাত পর্যন্ত আচার-অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিল পরিবার। বাড়ির ছাদ থেকে বৃদ্ধ বরের ওপর কনের চোখ পড়লে সে আঁতকে ওঠে। সোজা রুমে গিয়ে নিজেকে লক করে দেয়। দীর্ঘক্ষণ ঘর থেকে বের না হলে পরিবারের লোকজনসহ অন্য লোকজন কনেকে দরজা খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও সে কারো কথা শোনেনি। এরপর জানা যায় সে বিষ খেয়েছে।
এ ঘটনার পর বিয়ে বাড়ির আনন্দের পরিবেশ শোকে পরিণত হয় এবং পরিবারের অবস্থা শোচনীয়। কনের মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজন ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। এসপি রাজেশ সিং বলেছেন যে কোনও দিক থেকে অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।