পেশায় জাদুকর। গত দশ বছর ধরে জাদুবিদ্যায় পারদর্শী এই ব্যাক্তি নানা জায়গায় জাদুর খেলা দেখিয়ে বেড়ান। এই ভাবেই চলছিল বেশ। কিন্তু রঙ্গভঙ্গ হলো যখন আচমকাই এই জাদুকরের আসল পরিচয়টা কাকতালীয় ভাবেই সবার সামনে চলে এলো। বিষয়টা কি? জানলে অবাক হবেন।
২০০৭ সালে, মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলার জাওয়ার থানায় নানকরাম রামেশ্বর গাওলির বিরুদ্ধে ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত আসামি আদালত থেকে জামিনও পেয়েছিলেন, কিন্তু এরপর তিনি পলাতক ছিলেন এবং আর কখনো আদালতে যাননি বা হাজিরা দেননি। আদালত তাকে গ্রেফতার করে হাজির করার কঠোর নির্দেশ দিলে পুলিশ তার সন্ধান দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কার পর্যন্ত ঘোষণা করে।
কিন্তু কিছুতেই তার খোঁজ মেলেনি। এইভাবেই কেটে যায় প্রায় দশ বছর। এদিকে, পুলিশ তথ্য পায় যে নানকরাম বর্তমানে উত্তর প্রদেশের মুজাফফরপুরে বসবাস করছেন এবং জাদুকরের পেশা গ্রহণ করেছেন। অভিযুক্ত তার দ্বিতীয় আধার কার্ডও সেখানে তৈরি করেছিল।
জাওয়ার থানার টিআই শিবরাম জাট জানিয়েছেন, পলাতক থাকাকালীন নানকরাম গোয়ালিয়র, লখনউ এবং মুজাফফরপুরে জাদুবিদ্যা শিখেছিলেন। তিনি উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে তার শো করতে শুরু করেন। তার সাথে একটি পুরো দল ছিল, যার মধ্যে অনেক মেয়েও ছিল। পুলিশ যখন জানতে পারে যে ধর্ষণেরঅভিযুক্ত নানকরাম বিহারের পাটনায় তার ম্যাজিক শো করতে চলেছেন, তখন পুলিশ দল খান্ডোয়া থেকে চলে যায়। সেখানে এই দলটি নানকরামের পুরো অনুষ্ঠানটি দর্শক হয়ে দেখে এবং জাদুকরি দেখানো শেষ হওয়ার সাথে সাথে তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপরই ছড়ায় চাঞ্চল্য। জাদুকরের ছদ্মবেশে এক অপরাধীর পরিচয় সামনে আসতে তার দলের সদস্যরা তো বটেই এমনকি দর্শকরাও হতবাক।