আগ্রার ফ্যাশন ব্লগার আর সোশ্যাল মিডিয়া ঋতিকা হত্যাকাণ্ডে প্রেমিক জানালেন কীভাবে মৃত্যু এড়াতে দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছেন ওই তরুণী। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে লিভ-ইন রিলেশনে থাকা ঋতিকা সিং কে তার স্বামী খুন করেছিল। এই কাজে তার সঙ্গ দিয়েছে আরো দুই মহিলা। ফুড অ্যান্ড ফ্যাশন ব্লগার ঋতিকা সিং তার স্বামীর সাথে বিবাদের পর ফেসবুক বন্ধু বিপুল আগরওয়ালের সাথে শহরের কেওম শ্রী প্লাটিনাম অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছিলেন। তার স্বামী তাকে অনেক দিন ধরে খুঁজছিলেন।
বিপুল পুলিশকে জানায়, ঋতিকার স্বামী আকাশ গৌতম তাকে হাত বেঁধে বাথরুমে আটকে রেখেছিল। সে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকল, কিন্তু কেউ তার চিৎকার শুনতে পেল না। এরপর আকাশ তার সঙ্গীদের সহায়তায় স্ত্রী ঋতিকার হাত বেঁধে চতুর্থ তলা থেকে নিচে ফেলে দেয়। ঋতিকা পড়ে যেতেই অ্যাপার্টমেন্টের লোকজন বাইরে জড়ো হয়।
ফ্ল্যাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিসপত্র, চুলের গোছা পাওয়া গেছে:
লোকজন এলার্ম দিলে গার্ড গেট বন্ধ করে দেয়। ঋতিকা সিং এইভাবে পড়ে মারা যাবার পর সেখানে উপস্থিত লোকজন দৌড়ে এসে আকাশ ও তার মহিলা সঙ্গীদের ধরে ফেলে। এ সময় দুইজন পালিয়ে যায়। অ্যাপার্টমেন্টের লোকজন ফ্ল্যাটে পৌঁছলে বিপুলকে বাথরুমে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে বের করে আনা হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অভিযুক্ত স্বামী আকাশ গৌতম ও দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দুজনের খোঁজ চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দল ডেকেছে। তারা ফ্ল্যাটে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেখতে পান। সেখানে একগুচ্ছ চুলও পাওয়া গেছে, যা তদন্তের জন্য দলটি রেখেছে।
তদন্তে জানা গেছে আকাশ গৌতমের সঙ্গে আরও চারজন ছিলেন, যাদের মধ্যে দুজন মহিলা। সকাল ১০টা বেজে ৩৬ মিনিটে অ্যাপার্টমেন্টের গেট থেকে, আকাশ তার সাথে থাকা দুই মহিলাকে প্রথমে প্রবেশ করায়, তারপর সে ঢুকে আসে যাতে কেউ সন্দেহ না করে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢোকার সময় তারা কোথায় যাচ্ছে এই বিষয়ে গার্ডের কাছে ভুল ফ্ল্যাটের নম্বর দেন। ভুয়া নাম নিয়ে দুষ্কৃতীরা ৪০৪ নম্বর ফ্ল্যাটের কথা লেখেন যেখানে তারা ৬০১ নম্বর ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। অভিযুক্তরা এই কাজ করেছে যাতে গার্ড তাদের সঠিক তথ্য পেতে না পারে। মানে তারা আগে থেকেই ঋত্বিক ও তার প্রেমিক বিপুলের ফ্ল্যাটের কথা জানত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় চতুর্দিকে শোরগোল পড়ে গেছে। ঘটনাটি সমাধানে দ্রুত তদন্ত করছে পুলিশ।