উত্তরপ্রদেশের বেরেলি জেলায় অবস্থিত ইজ্জতনগর থানা এলাকায় এক মান্ডি শ্রমিকের মেয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আত্মহত্যার আগে ওই মেয়েটি প্রেমিককে ৪০ বার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। এতে রেগে গিয়ে মেয়েটি কোনো বিষাক্ত দ্রব্য খেয়ে ফেলে। মেয়েটির পরিবার তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ইজ্জতনগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছে পরিবারের লোকজন। একই সঙ্গে ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, ইজ্জতনগরের গাংওয়ার এনক্লেভ কলোনীর বাসিন্দা দেবীদাসের মেয়ে বেরেলি কলেজের ছাত্রী ছিল। ইজ্জতনগরের গুরুদ্বার অলোক নগরের বাসিন্দা সঞ্চিত অরোরা নামে এক ছেলের সঙ্গে কথোপকথন চলছিল। দুজনেই অনেকক্ষণ ধরে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করছিলেন। সঞ্চিত অরোরা ওই ছাত্রীকে ভিডিও কলে মুখ দেখানোর জন্য চাপ দেন। মুখ না দেখাতে রাজি হওয়ায় ও ভিডিও কল না করায় ট্রেন থেকে নিচে ঝাঁপ দেবেন বলে হুমকিও দেয় ওই ছেলেটি। এর পর ফোন কেটে দেন সঞ্চিত।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রী সঞ্চিত অরোরার সাথে কথা বলার জন্য প্রায় ৪০ বার ফোন করেছিল, কিন্তু সে কল রিসিভ করেনি। এতে ক্রুদ্ধ হয়ে ওই ছাত্রী বিষ খায়, এরপর তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে ছাত্রীকে পবন হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এরপর সঞ্চিত অরোরা মেসেজ করেন, তোমার কিছু হলে আমি তোমার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলব।
এখন সঞ্চিত অরোরার প্ররোচনা ও চাপের জেরে ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনার বিষয়ে ইজ্জতনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার বলেন, পরিবার সঞ্চিত অরোরার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে। পুলিশ তদন্ত করছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।