চাকরি চলে যাওয়া যে কোন মানুষের জন্যই একটা দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম না। কোন কর্মক্ষেত্রে যদি কারো বস বলে যে তোমাকে এখানে প্রয়োজন নেই সেটা হঠাৎ করে যে কারো মাথা খারাপ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কি বা করার থাকে। যতই খারাপ লাগুক বা রাগ হোক, কোন চাকরি খোঁজা ছাড়া উপায় থাকে না। কিন্তু এই মহিলাকে যখন বলা হলো, ‘তোমার আর কাল থেকে কাজে আসার দরকার নেই’ তিনি ঘটিয়ে বসলেন এক মারাত্মক কান্ড।
চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়ে বসের ওপর রেগে গেল এক মেয়ে। এর পর প্রতিশোধ নিতে যে পদক্ষেপ নিলেন, তা অবাক করে দিয়েছে সবাইকে। মেয়েটি অফিস ভাংচুর করে বসের অনেক ক্ষতি করে দেয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আসলে, আর্জেন্টিনার বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী ইভলিন রোল্ডান পোলো সুপার মার্কেটে কাজ করতেন। মঙ্গলবার, তাকে বলা হয়েছিল যে তার আর চাকরিতে আসার দরকার নেই, কারণ বস তাকে বরখাস্ত করেছেন। এতে রোল্ডান খুবই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং রাগে দোকানে ভাংচুর শুরু করেন।
রোল্ডান দোকানে রাখা মদের বোতলগুলো মাটিতে ছুড়তে থাকে। অনেক দামী মদের বোতল মাটিতে ফেলে সে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। দোকানে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে তার কর্মকাণ্ড। পরে পুলিশ তাকে আটক করে।
রোল্ডান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে তিনি যা করেছেন তা ভুল ছিল, তবে তিনি নিজের সপক্ষে এই বলে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন যে তিনি বরখাস্ত হওয়ায় রাগান্বিত ছিলেন। রোল্ডান জানান, চাকরিচ্যুত হওয়ার কথা শুনে তিনি শান্ত থাকতে পারেননি এবং রাগে এই পদক্ষেপ নেন। রোলডান আরও বলেন, বস তার কথা না শুনে চাকরি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্যে বলেছেন যেটা অনুচিত।
ভিডিওতে দেখা যায় কিভাবে রোল্ডান দোকান ভাংচুর করছে। তাকে র্যাকে রাখা মদের বোতল মাটিতে ফেলে দিতে দেখা যায়। চারিদিকে মানুষের চিৎকারের শব্দ ভেসে আসছে। মাটিতে পড়ে আছে শত শত বোতল। আপনার কি মনে হয়? রোল্ডান এর কাজটি ঠিক না ভুল!