সপ্তাহের প্রথম দিন দেশের কোভিড (COVID-19) গ্রাফে উদ্বেগ বাড়ল আরও। আগের দিনের তুলনায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ সামান্য কমলেও অ্যাকটিভ কেস ঊর্ধ্বমুখী। বাড়ল মৃত্যুও। পজিটিভিটি রেট পেরিয়ে গেল ৪ শতাংশ। এহেন পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। এ কি চতুর্থ ঢেউ নাকি শেষের পথে কোভিড? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না আমজনতা। অনেকেই চাইছেন, ফের স্বাস্থ্যবিধি কড়াকড়ি হোক।
দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড পজিটিভ হয়েছেন ১২,৭৮১ জন। রবিবার যা ছিল প্রায় ১২,৯০০। একদিনে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus)ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। আর অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা এই মুহূর্তে ৭৬,৭০০। যা আগের দিন ছিল ৭২ হাজারের সামান্য বেশি।
দেশের কোভিড গ্রাফের দিকে নজর রাখলে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারীর প্রকোপ কাটিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৮৫৩৭, যা আক্রান্তের তুলনায় অনেকটাই কম। এ নিয়ে সুস্থতার হার দাঁড়াল ৯৮.৬১ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে মোট ৫,২৪,৮৭৩ জনের। মোট আক্রান্তের তুলনায় ১.২১ শতাংশ।
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশবাসীর সবচেয়ে বড় অস্ত্র ভ্যাকসিন (Corona vaccine)। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ। এবার চলছে বুস্টার ও প্রিকশন ডোজ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৬ কোটি ১৮ লক্ষের বেশি ডোজ দেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই ভ্যাকসিনের ডোজ পেয়েছেন ২ লক্ষ ৮০ হাজারের বেশি। করোনার বাড়বাড়ন্ত মোকাবিলায় নতুন অস্ত্র আসছে চিকিৎসকদের হাতে। ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার প্রথম ন্যাজাল ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়েছে বলে সংস্থার দাবি। ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, দ্রুত তাঁদের ন্যাজাল ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়ে যাবে।