আবারও শিরোনামে মহারাষ্ট্র। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাগপুরের ২৫ বছরের এক তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনা সামনে এসেছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর বিয়ের অজুহাতে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে। নির্যাতিতার অভিযোগ, তার প্রেমিক প্রতারণা করে অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখন তাকে আদালতে হাজির করা হবে। নির্যাতিতা পুলিশকে বলেছে, যখনই সে তার প্রেমিক কে বিয়ের কথা বলত, তখন সে বলতো কিছুদিন পরে। এইভাবেই পিছিয়ে যেতে থাকে বিয়ের ডেট। গত দুই মাস ধরে ওই যুবক দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছিলেন। ফোনও রিসিভ করছিল না।
অভিযুক্ত অতুল প্রভাকর খুরপদি (বয়স ২৮ বছর), কামাঠি এলাকার বাসিন্দা। তিনি গ্রামের কর্মসংস্থান সেবক হিসেবে কাজ করেন। বিয়ের কথা বলে, তিনি প্রথমে ২২ বছর বয়সী মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে ফেলেন এবং ১লা অক্টোবর ২০১৮ থেকে ৩১শে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত তাকে যৌন নির্যাতন করতে থাকে। তারপর আস্তে আস্তে সে যোগাযোগ কমিয়ে দেয় এবং দূরে সরে যেতে থাকে। প্রেমিকা কে কিছু না জানিয়ে এমনকি চুপচাপ বিয়েও করে ফেলে।
এই বিষয়টি কোনো ভাবে জানতে পেরে নির্যাতিতা তরুণী থানায় অভিযোগ জানায়। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতে হাজির করার পর তাকে ১৫ জুন পর্যন্ত পুলিশি রিমান্ডে নেওয়া হয়।
পুলিশ বলছে, ২০১৮ সাল থেকে নির্যাতিতা তরুণী আর অভিযুক্তের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। এরপর দুজনেই একে অপরের আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। বিয়ের অজুহাতে বান্ধবীকে ধর্ষণ করতে থাকে অভিযুক্ত। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।