Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

২৭ বছর আগে কাজের খোঁজে নেপাল থেকে এসে হারিয়ে যান! এত বছর পরে যেভাবে খুঁজে পেল পরিবার

জীবনে এমন ঘটনা খুব কমই আছে যখন কেউ সুখ-দুঃখ একসাথে অনুভব করে। শুক্রবার ঠিক এমন অনুভুতি প্রত্যক্ষ করেছেন নেপালের কৃষ্ণ। ২৭ বছর আগে কৃষ্ণ নেপাল থেকে এক বন্ধুর সাথে কাজের সন্ধানে দিল্লিতে এসেছিলেন। রুটি রোজগারের স্বপ্ন ছিল তাদের। কিন্তু সেই বন্ধুটি কোথাও হারিয়ে যান, তাকে আর খুঁজে পাননি কৃষ্ণ। ঘুরতে ঘুরতে সে দাদরির কোটগাঁও পৌঁছে যান। তারপরে তার সাথে যা হয়েছে তা কোন চিত্রনাট্যর থেকে কম নয়।

‘আর এইভাবে কৃষ্ণ হলেন রবি’

দাদরির সঞ্জয়, যিনি কৃষ্ণের খেয়াল রেখেছিলেন বলেন যে প্রথমবার আমরা তাকে খামারের কাছে বসে কাঁদতে দেখেছিলাম। সে সময় তার স্বাস্থ্য খুবই খারাপ ছিল। তাঁকে নিয়ে তারা হাসপাতালে যান, সেখানে চিকিৎসা করিয়ে তারপর কৃষ্ণকে তার বাবা-মায়ের কথা জিজ্ঞেস করেন। সঞ্জয় বলে ‘সে সময় জানি না কেন কৃষ্ণ বলেছিলেন যে তার কেউ নেই এবং এখন সঞ্জয়ই তার পিতামাতা সবকিছু। সঞ্জয়ও কৃষ্ণকে নিজের পরিবারের সাথে রাখেন। তিনি তার নাম রাখেন রবি।

‘কিছু লোক ভুয়া বাবা-মা হয়েও এসেছিল’

কৃষ্ণ ওরফে রবি যখন চলে যাচ্ছিল, তখন কৃষ্ণের সঙ্গে সঞ্জয়ের পরিবারও ভীষণ কেঁদেছিল। সঞ্জয় বলেছেন যে কয়েক বছর আগে কিছু লোক এসে কৃষ্ণকে তার ছেলে বলে দাবী করে, আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করি, কিন্তু তারা যে উত্তর দিয়েছে তাতে আমাদের সন্দেহ হয়েছিল। কৃষ্ণও সেই লোকদের চিনতে অস্বীকার করেছিল। এরপর ২ বছর আগে লক-ডাউন হওয়ার সময় সঞ্জয়ের পরিবার কৃষ্ণ কে কয়েকদিনের জন্য বাগপতে একটি পরিবারের সাথে রেখে গিয়েছিল, কিন্তু তারা জানতে পারে কোনোভাবে যে বাগপতের পরিবারটি কৃষ্ণকে দিয়ে শ্রমিকের মতো কাজ করাচ্ছে। এর পর সঞ্জয়ের পরিবার আবার কৃষ্ণকে তাদের কাছে নিয়ে আসে।

‘নেপাল থেকে যেভাবে দাদরি পৌঁছয় কৃষ্ণর পরিবারের লোকজন’

বাগপতে বসবাসকারী কেউ নেপাল দূতাবাসকে জানিয়েছিলেন যে দাদরিতে ভারতীয় পরিবারের সঙ্গে একজন নেপালি যুবক বসবাস করছেন। এই তথ্যের পর দূতাবাসের লোকজন দাদরিতে সঞ্জয়ের পরিবারের কাছে পৌঁছে ছেলেটির খোঁজখবর নেন। দূতাবাসের উদ্যোগে নেপালে কৃষ্ণার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। এবার পরিবার এলে কৃষ্ণ তার মাকে চিনতে পারলেন।

রবি থেকে কৃষ্ণ আবার কৃষ্ণ হতে চলেছেন।

নেপাল যাওয়ার সময় কৃষ্ণ ভীষণ কান্নাকাটি করে। যেমন সে তার নিজের পরিবারকে ফিরে পেয়ে খুশি হয়েছিল একই সাথে আশ্রয়দানকারী পরিবারের সাথে বিয়োগের কষ্ট ছিল। পুরো পরিবারের চোখ জলে ভিজে ওঠে এবং এ দৃশ্য দেখে সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। যাইহোক, পুলিশ তখন কৃষ্ণ কে এই বলে শান্ত করে যে এখন আপনার একটি নয় দুটি পরিবার আছে।

Related posts

করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক! পাকিস্তানের করাচিতে শুরু লকডাউন

News Desk

এবারে রাজ্যে মদ বিক্রিতেও ছাড়। এই নির্ধারিত সময়ে খোলা থাকবে মদের দোকান

News Desk

বিধবা মহিলাকে একই সাথে পছন্দ দুইজনের! নয়ডায় ত্রিকোণ প্রেমের পরিণতি হলো ভয়াবহ

News Desk