অন্য নারীর সঙ্গে প্রেমিকের পরকীয়া হাতেনাতে ধরলেন আর প্রতারিত হয়েছেন সেটা টের পেতেই ওই ব্যক্তির উপর চরম প্রতিশোধ নিতে পিছপা হলেন না এই আমেরিকান তরুণী। অবশ্যি এই ঘটনাকে ঠিক অভিনব বলা যায় না। প্রেমে প্রতারিত হলে কারোরই মাথা ঠিক থাকা সম্ভব নয়। মারধর, এমনকি হত্যার ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এই ঘটনায় নতুন বা অভিনব যে বিষয়টি সেটা হলো প্রেমিকের পরকীয়া ধরতে এই নারী যে উপায় কাজে লাগিয়েছেন। আর তার এই পন্থা এখন ইন্টারনেটে চতুর্দিকে চর্চিত।
জানা গিয়েছে অ্যাপল কোম্পানির ‘এয়ার ট্যাগ’ ব্যবহার করেই প্রেমিকের কীর্তি হাতেনাতে ধরে ফেললেন মহিলা। কি এই ‘এয়ার ট্যাগ’? আসলে কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস খুজেঁ না পেলে সেগুলির হদিশ পেতে ‘এয়ার ট্যাগ’ ব্যাবহার করা হয়।
প্রেমিকের আচার আচরণ বেশ কিছুদিন ধরেই সন্দেহ জনক ঠেকছিল ২৬ বছর বয়সী গ্যালিন মরসের। তাই ‘এয়ার ট্যাগ’ ব্যবহার করে এক ফন্দি আঁটে ওই মহিলা। প্রেমিক অ্যান্ড্রে স্মিথের ডিভাইস খুজেঁ তাকে ফলো করে পানশালায় পৌঁছান গ্যালিন। সেখানে পৌঁছে দেখেন তার প্রেমিক অন্য এক নারীর সঙ্গে খোশ মেজাজে সময় কাটাচ্ছেন। যা দেখে ভীষণ রেগে যান গ্যালিন। একটি খালি ওয়াইনের কাঁচের বোতল নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে বসে থাকা মহিলার দিকে ছুটে যান। বিষয়টি লক্ষ্য করে তাঁকে আটকাতে এগিয়ে আসে প্রেমিক। আর তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা। কাচের বোতলের আঘাতে মৃত্যু হয় যুবকের।
অ্যাপলের এই ডিভাইস কর্তৃক প্রদত্ত সুবিধা কে হাতিয়ার করে মানুষের পিছু আগেও করা হয়েছে। কিন্তু এমনটা করা যদিও বেআইনি। অ্যাপল এই কারণে ঘোষণাও করেছিল যে তারা অপ্রয়োজনীয় ট্র্যাকিং বন্ধ করে দেবে। অ্যাপল নিজেদের একটি ব্লগে মানুষকে বলেছিল কিভাবে তারা এই ট্র্যাকিং এর হাত থেকে বাঁচবেন। ইউজারদের সাথে কোনও অজানা এয়ারট্যাগ যাত্রা করলে তাঁদের সতর্ক করার ব্যাবস্থা করেছে অ্যাপল। টোন সিকোয়েন্স ব্যবহার করে মিসিং ‘এয়ার ট্যাগ’ খুঁজে পাওয়া যাবে।