মর্মান্তিক! উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে শিলবাট্টা মেরে স্ত্রীকে খুন করলেন তার স্বামী। ওই মহিলার পরিজনদের অভিযোগ বিয়ে হওয়ার পর অনেক দিন গেলেও সন্তান সন্ততি হয়নি তাদের মেয়ের। সকলে ভাবতো এতে তাদের মেয়েরই দায়। তাদের মেয়েকে বন্ধ্যা হওয়ার জন্য অনেক লোকজন ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত অন্যদিকে তার স্বামীই আসলে তাকে বারবার গর্ভপাত করাতে বাধ্য করতে। এ বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। বর্তমানে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটা কি? সেরামাউ দক্ষিণ থানার চৌহনাপুর গ্রামে এক ব্যক্তি হরি কান্ত ত্রিপাঠি তার স্ত্রী পিঙ্কি ত্রিপাঠীকে শিলবাট্টা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মৃত মহিলার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে তাদের মেয়ে বন্ধ্যা হওয়ার জন্য লোকেদের দ্বারা অনেক কটূক্তি শুনতো। কিন্তু বাস্তবতা এই যে তার স্বামী তাকে গর্ভপাত করাতেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং ঝগড়া বাড়লে স্বামী তাকে হত্যা করে।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার এস. আনন্দ বলেছেন যে পিঙ্কি ত্রিপাঠী নামে এক মহিলার দেহ রক্তমাখা অবস্থায় পড়ে ছিল বলে তাদের কাছে খবর গেছে। এছাড়াও, মৃতের ভাই পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ করেছেন, যাতে তিনি বলেছিলেন যে অভিযুক্ত হরিকান্ত ত্রিপাঠির প্রথম পক্ষের স্ত্রী থেকে দুটি ছেলে রয়েছে এবং পিঙ্কি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। তাই তার সন্তানের কোনো দরকার ছিল না। কিন্তু তার বোনকে এই নিয়ে কথা শুনতে হতো। এই জন্য বিরোধ বাঁধে।
অভিযুক্ত স্বামী হরিকান্ত ত্রিপাঠী দিল্লির বদরপুর এলাকার বাসিন্দা। আগের দিন স্ত্রী পিংকিকে নিয়ে গ্রামে পৌঁছেছিলেন তিনি। সন্তান সন্ততি ছাড়া আরও একটি বিষয় সম্পত্তি নিয়ে উভয়ের মধ্যে নানা বিরোধ চলছিল, যার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়। বর্তমানে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।