টাকার লোভ এমন ভয়ঙ্কর জিনিস যে নিজের মেয়ের উপর অত্যাচার করার আগে দুবার ভাবলো না এই মহিলা। তামিলনাড়ুর ইরোড শহরের একটি বেসরকারি ফার্টিলিটি ক্লিনিকে এক নাবালিকা মেয়েকে একবার নয়, দুই বার নয় মোট আটবার জোর করে ডিম্বাণু দান করতে বাধ্য করা হয়েছে। ১৩ বছর বয়সী নাবালিকা কিশোরী মেয়েকে এমন করতে বাধ্য করা ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত চার আসামির মধ্যে দুই মহিলা রয়েছেন। সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো তাদের একজন মেয়েটির মা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুই নারীসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সুধা হাসপাতালে দালালের কাজ করত ইন্দ্রাণী। সেখান থেকেই সে ডিম্বাণু দান করার বিষয়টি জানতে পারে। এরপরেই তার মাথায় আসে এই প্ল্যান। ডিম্বাণু দান করার জন্য বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছানো নাবালিকা মেয়েকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। টাকার জন্যই সে মূলত এমনটা করেছে। এ সময় তার সঙ্গে হাসপাতালে তার প্রেমিক সৈয়দ আলী ও আরেক মহিলাও উপস্থিত ছিলেন।
২৫০০০ টাকায় ডিম্বাণু বিক্রী করা হয়েছে
বলা হচ্ছে, এই কাজের জন্য মহিলা হাসপাতাল থেকে প্রতি ডিম্বাণু প্রতি ২৫০০০ করে টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ের উপর মায়ের অত্যাচার এখানেই থামেনি। মা জোর করে মেয়ের ডিম্বাণু দান করেছেন ৮ বার। মেয়ে শেষ অব্দি তার মায়ের অত্যাচার সইতে না পেরে সেলেমে তার আত্মীয়দের কাছে গিয়ে তার উপর হওয়া নিপীড়নের কথা জানায়।
এরপর নাবালিকা মেয়েটির আত্মীয়-স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মেয়েটির মা সহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ মেয়েটিকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছে চিকিৎসার জন্য। একই সঙ্গে পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যাতে এ ক্ষেত্রে হাসপাতালের ভূমিকা জানা যায়। এ ঘটনায় হাসপাতাল প্রশাসনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছে প্রশাসন।